দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে অ্যাস্ট্রোটার্ফ এবং গেমস ভিলেজের রাস্তা তৈরির দুর্নীতির তদন্তে নেমে দিল্লি, কলকাতা এবং শিলিগুড়িতে বুধবার একযোগে তল্লাশি চালাল সিবিআই।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসানো এবং রাস্তা তৈরির বরাত দেওয়া নিয়ে ৬০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এ দিন যে সব জায়গায় তল্লাশি চালানো হয় তার মধ্যে রয়েছে দিল্লিরই ২০টিরও বেশি জায়গা। কলকাতা এবং শিলিগুড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে তিনটি জায়গায়। আগে কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণির একটি সংস্থায় হানা দিয়েছিল সিবিআই। বিভিন্ন ইনডোর স্টেডিয়ামে ঢালাইয়ের বরাত পেয়েছিল সংস্থাটি।
সিবিআইয়ের কথায়, অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসানোর জন্য দিল্লির দু’টি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল। প্রতি বর্গমিটার কৃত্রিম ট্র্যাক বসাতে ৪ হাজার ৬৫০ টাকা দরে বরাত দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্ত বলছে ওই হার অনেক বেশি। ২০১১-এ রাঁচিতে আয়োজিত ৩৪তম জাতীয় গেমসেও অ্যাস্ট্রোটার্ফ বসানোর বরাত পেয়েছিল ওই দুই সংস্থা। সেখানে কিন্তু তারা প্রতি বর্গমিটারের দর দিয়েছিল ৩ হাজার ৩৫০ টাকা। এ ছাড়া, কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজের রাস্তার তৈরির জন্য ১৩ কোটি ৭৪ লক্ষেরও বেশি টাকার বরাত দেওয়া হয়েছিল। তদন্তে দেখা গিয়েছে, বাজার দরের থেকে তা ৮৯% বেশি।
দুর্নীতি দমন শাখার (কলকাতা) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শান্তনু করের নেত্ৃত্বে তিনটি দল এ দিন কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরের (পূর্বাঞ্চল) অতিরিক্ত ডিরেক্টর বি বি ভাটিয়া, কলকাতা রিজিওনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এন এল সিংহ এবং শিলিগুড়ির সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার ও এস সাইনির কার্যালয়ে হানা দেয়। সিবিআই জানায়, ওই তিন অফিসারই কমনওয়েলথ টেন্ডার (বরাত) কমিটির সদস্য ছিলেন। কলকাতা ও শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে পেনড্রাইভ এবং কম্পিউটারের ‘হার্ড ডিস্ক’ থেকে। কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরে তল্লাশি চালানো হয়েছে দিল্লিতেও। দিল্লি নগরোন্নয়ন সংস্থা ও নয়াদিল্লির একটি খেলার সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থার কার্যালয়েও হানা দিয়েছিল সিবিআই। প্রসঙ্গত, কমনওয়েলথ গেমসে দুর্নীতির অভিযোগে জেলে যেতে হয়েছিল আয়োজক কমিটির খোদ চেয়ারম্যান সুরেশ কলমডীকেও। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। |