কলেজ প্রাঙ্গণেই এক ছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিলেন রাঁচির জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক এস এইচ কাজমি। গত ২৬ এপ্রিল বিজেন্দ্রকুমার প্রসাদ ওরফে গুল্লু নামে ওই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক। এ দিন ঘোষিত হল দণ্ডাদেশ।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২৮ এপ্রিল রাঁচির সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ক্যাম্পাসে ঘটেছিল ওই খুনের ঘটনা। পরীক্ষা দিয়ে হল থেকে বেরোচ্ছিলেন ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার্থী খুশবু কুমারী। নাতনির জন্য কলেজ প্রাঙ্গণেই অপেক্ষা করছিলেন খুশবুর ঠাকুমা। ছাত্রছাত্রীরা একে একে বেরোচ্ছেন, এই অবস্থাতেই ধারালো ভোজালি হাতে বিজেন্দ্র ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই তরুণীর উপরে। ভোজালির আঘাতে খুশবুর কাটা মুণ্ডটি গিয়ে পড়ে ফুট দশেক দূরে। রক্তে ভেসে যায় চারিদিক। এমন ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীরা শিউরে ওঠেন। তবে খুশবুকে খুন করেও পালানোর তেমন চেষ্টা করেনি বিজেন্দ্র। রক্তমাখা ভোজালি-সহ কলেজের ছাত্রদের হাতে ধরা পড়ে যায় সে। তাকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। খুশবুর সঙ্গে বছর পাঁচেক ধরে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছিল এই যুবক।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এমন একটি নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে সে সময় দারুন চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজধানী রাঁচিতে। এই মামলা নিয়েও জনমনে ছিল কৌতুহল। পুলিশ জানিয়েছে, রাঁচির লোয়ারবাজার থানায় দায়ের করা এফআইআর-এর ভিত্তিতে ঘটনার দিনই গ্রেফতার করা হয়েছিল বিজেন্দ্রকে। পরের দিন আদালতের নির্দেশে বিজেন্দ্রকে জেলে পাঠানো হয়। ১৩ মে বিজেন্দ্রর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। জেলে বিজেন্দ্রর অস্বাভাবিক আচরণের জন্য মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয় তাকে। সেখান থেকে গত ১৬ নভেম্বর বিজেন্দ্রকে ফের জেলে আনা হয়। ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয় বিচার পর্ব। ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। গত ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলে বিচার পর্বে বাদি-বিবাদি দুই পক্ষের সওয়াল জবাব। গত ২৬ এপ্রিল বিজেন্দ্রকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আজ দোষীর শাস্তি ঘোষণা হল। |