|
|
|
|
রাজগ্রাম পঞ্চায়েত |
জলাধার থেকে পর্যান্ত জল মেলে না, বিক্ষোভ গ্রামবাসীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও পানীয় জল সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় মুরারই ১ ব্লকের রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের ক্ষোভ, গরমে জলস্তর নেমে যাওয়ায় নলকূপে জল উঠছে না। কুয়ো বা ইঁদারাগুলিও শুকিয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে বারবার জানিয়েও রাজগ্রামে পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পের জলাধারে পর্যাপ্ত জল ওঠে না। এর ফলে এলাকায় পানীয় জলের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
দিন কুড়ি আগে রাজগ্রামের বাসিন্দারা বিডিও-র (মুরারই ১ ব্লক) দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সম্প্রতি বিডিও বদলি হয়ে যাওয়ায় এখনও পর্যন্ত সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। এর ফলেই বুধবার রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীদের জলের দাবিতে ঘেরাও করেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। প্রধান না থাকায় ক্ষোভ আরও বাড়ে। কর্মীদের ঘিরেই বিক্ষোভ হয়।
রাজগ্রাম ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গোবিন্দলাল বিশ্বাস জানান, জলস্তর নীচে নেমে যাওয়ায় বর্তমানে এলাকায় রিগ বোরিং নলকূপ থেকে জল মিলছে না। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পরিস্রুত পানীয় জলের প্রকল্প তো জন্মলগ্ন থেকেই বেহাল। তাঁর বক্তব্য, “এর ফলে গরম পড়তেই গোটা এলাকায় তীব্র জলকষ্ট দেখা দিয়েছে। রাজগ্রাম বাজার এলাকায় পানীয় জলের জন্য মাঝেমধ্যেই খাবারের দোকান বন্ধ করার উপক্রম হচ্ছে। বাজার করতে আসা অসংখ্য মানুষজনও গরমের সময় পানীয় জল পাচ্ছেন না। ভেড়িওয়ালাদের কাছ থেকে জল কিনে হচ্ছে অনেক বাসিন্দাকেই। পুকুরের জলও প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে।” |
|
জলে ময়লা ও পোকা আসছে। কাপড় দিয়ে খাবারের জল সংগ্রহ করছেন
বাসিন্দারা। নলহাটির ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সব্যসাচী ইসলামের তোলা ছবি। |
গোবিন্দলালবাবুর দাবি, গত বছর ব্যবসায়ী সমিতির তরফে ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে জলের জোগান দেওয়া হলেও এ বছর অর্থাভাবে তা করা যায়নি। এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছেন। এলাকার বাসিন্দা তথা বীরভূম জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ বদিরুজ্জামান খান বলেন, “জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পে উৎসস্থল থেকে জল সরবরাহে ত্রুটি আছে। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজগ্রাম পঞ্চায়েত লাগোয়া বোঁড়সা পঞ্চায়েতের জগন্নাথপুর, ভাটরা, আবদুল্লাপুর এলাকায় ভালভাবে জল পৌঁছলেও ১২ কিলোমিটার দূরে থাকা রাজগ্রামের জলাধারের পাইপলাইনে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল থাকায় জল ঠিকমতো পৌঁছয় না। এ ছাড়া মাঝেমাঝে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণেও পাম্পের সাহায্যে জলাধারে জল ওঠা বন্ধ থাকে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বিভাগীয় আধিকারিককে এই সমস্যার কথা একাধিকবার বলার পরেও লাভ হয়নি।”
এলাকার আর এক বাসিন্দা তথা মুরারই ১ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপকুমার ভকতের দাবি, “জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ত্রুটির জন্যই এলাকায় জলসঙ্কট মাঝেমাঝে দেখা দেয়। তবে, জলসঙ্কট যতটা তীব্র বলে বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, সমস্যা ততটা জটিল আকার এখনও নেয়নি। এলাকার মানুষ আমার কাছে এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগও করেননি।” রাজগ্রাম এলাকায় কয়েকটি নতুন গভীর নলকূপ বসানোর আশ্বাস অবশ্য দিয়েছেন প্রদীপবাবু। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ভূমিকায় তিনিও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় আধিকারিকের উদাসীনতার জন্যই রাজগ্রামে জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে।” রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম উপ-প্রধান আনোয়ার হোসেন জানান, শুধু রাজগ্রাম নয়, এই পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতেও তীব্র জলকষ্ট রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অর্ধেন্দু দত্ত বলেন, “লো ভোল্টেজের জন্য পাম্প চালানো যাচ্ছে না। এর ফলে সমস্যা বেড়েছে। আর বাকি যে সব সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি পঞ্চায়েত সমিতি, স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদের কাছ থেকে লিখিত আকারে প্রস্তাব পেলে সমাধান করা হবে।” |
নলহাটি পুরভোট |
ওয়াড |
প্রার্থীর নাম |
দল |
১)
২)
৩)
৪)
৫)
৬)
৭)
৮)
৯)
১০)
১১)
১২)
১৩)
১৪)
১৫) |
নুরে আলম
নিখিল মণ্ডল
বাবুজান আনসারি
রবীন্দ্রনাথ শর্মা
বাসন্তী প্রসাদ
প্রতিমা দাস
সুব্রত ভট্টাচার্য
সুব্রত দত্ত
কেকা গুপ্ত
আবু বাকি হাসনাত
শের মহম্মদ
হাসিনা বেগম
হাসিবুল শেখ
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
নুরনেহার বেগম |
ফব
সিপিএম
সিপিএম
সিপিএম
সিপিএম
ফব
সিপিআই
বাম সমর্থিত নির্দল
সিপিএম
সিপিএম
সিপিএম
সিপিএম
ফব
সিপিএম
সিপিএম |
বুধবার নলহাটি পুর-নির্বাচনে তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বামফ্রন্ট। এলাকার সিপিএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন, তাঁরা এ বার পুরসভার ১০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছেন। বাকি ৫টি আসনের মধ্যে ফরওয়ার্ড ব্লক ৩টিতে প্রার্থী দিয়েছে। অন্য দু’টিতে রয়েছেন সিপিআই এবং বামফ্রন্ট সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। |
|
|
|
|
|
|