|
|
|
|
তৃণমূলের মে-ডে, সিপিএম কর্মী প্রহৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
তৃণমূলের উদ্যোগে আয়োজিত মে দিবসের অনুষ্ঠানে না গিয়ে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ায় এক সিপিএম সমর্থককে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার এইচএফসি কলোনি কমিউনিটি সেন্টার মোড়ের ঘটনা। তৃণমূল অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরের মতো এ বারও কমিউনিটি সেন্টার মোড়ে মে দিবস পালনের আয়োজন করেছিল সিপিএম। পাশে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও মে দিবসের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। সিপিএম সমর্থক, পেশায় কাঠমিস্ত্রি মন্টু সূত্রধর অন্য বারের মতোই দলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। মন্টুবাবুর দাবি, “তৃণমূলের লোকজন তাদের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বলে। আমি রাজি হইনি। দোকানে ফেরার পরে তৃণমূল কর্মী হিমাদ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কয়েক জন আমাকে মারতে শুরু করে। মিনিট দশেক ধরে আমাকে মারা হয়।” সিপিএমের জেমুয়া বিধাননগর লোকাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “হঠাৎ দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় একটি রিক্সায় চড়ে মন্টুবাবু দলীয় কার্যালয়ে আসছেন। তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি।” তাঁর অভিযোগ, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে প্রথমে পুলিশ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে চায়নি। পঙ্কজবাবুর দাবি, “আমাদের প্রায় শ’দুয়েক সমর্থক থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পরে পুলিশ অভিযোগ নিতে বাধ্য হয়।” নিউ টাউনশিপ থানার ওসি অসীম মজুমদার অবশ্য অভিযোগ না নিতে চাওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
মন্টুবাবুর দাবি, রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পরে এলাকার অনেকে সিপিএম সমর্থকই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় চাপ দেওয়া হতে থাকে। তিনি বলেন, “তৃণমূলে যোগ না দিলে আমার দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।” তাঁর অভিযোগ, বুধবার তাঁর কর্মচারীরা দোকান খুলতে গেলে তৃণমূলের লোকজন বাধা দেয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমল হালদার বলেন, “আসন্ন পুরভোটের আগে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে তৃণমূল এমন ঘটিয়েছে।”
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য মন্টুবাবুকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা ভীম মণ্ডল বলেন, “হিমাদ্রী আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। কিন্তু মারধরের ঘটনায় সে যুক্ত নয়।” উল্টে তাঁর অভিযোগ, এলাকায় যাঁরা সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন, মন্টুবাবু তাঁদের চাপ দিচ্ছেন। ভীমবাবুর কথায়, “আমাদের দলের কয়েক জন তাঁকে এমন কাজ না করার অনুরোধ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে মারধর করা হয়নি।” |
|
|
|
|
|