|
|
|
|
চোরাই কয়লায় হচ্ছে গুল, কারখানা বন্ধের আবেদন |
সুশান্ত বণিক • আসানসোল |
চোরাই কয়লা ব্যবহার করে উৎপাদন চালানো হচ্ছে গুল তৈরির কারখানাগুলিতে। এই অভিযোগে ‘মাইক্রো অ্যান্ড স্মল স্কেল এন্টারপ্রাইসেস এন্সিলারি ইন্ডাস্ট্রি’জ ডেভেলপমেন্ট সেলে’র ডেপুটি ডিরেক্টরকে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের প্রায় এক ডজন গুল কারখানার অনুমোদন বাতিলের লিখিত আবেদন জানাল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। এডিসিপি (পশ্চিম) সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বারাবনি, সালানপুর ও কুলটির বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে একাধিক গুল কারখানা আছে শিল্পাঞ্চলে। তার মধ্যে প্রায় এক ডজন কারখানাকে চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে উৎপাদনের জন্য অবৈধ খাদানের কয়লা ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, “ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে আমরা এই কারখানাগুলির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছি। কারখানাগুলির অনুমোদন বাতিলের জন্য ক্ষুদ্র শিল্পোন্নয়ন দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টরকে আবেদন করেছি।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলটির সবনপুর, কদভিটা এলাকায় একাধিক কারখানায় অভিযান চালিয়ে কয়লা বোঝাই দু’টি লরি-সহ প্রায় ৮০ মেট্রিক টন কয়লা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও সালানপুরের এথোড়া, সামডিহি এলাকায় একাধিক কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর চোরাই কয়লা উদ্ধার হয়েছে। সুব্রতবাবু জানান, বহুদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল গুল উৎপাদনের নেপথ্যে চোরাই কয়লার কারবার চালাচ্ছেন মালিকেরা। তার ভিত্তিতে বারাবনি থানা এলাকায় পুলিশ প্রথম অভিযান চালায়। আচমকা এই অভিযানে মজুত চোরাই কয়লা সরাতে পারেননি মালিকেরা। এর পরেই কুলটিতে অভিযান চালিয়ে ওই চোরাই কয়লা বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাঁর দাবি, উৎপাদনের জন্য কোল ইন্ডিয়ার কাছ থেকে কয়লা কেনার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি কারখানাগুলির মালিকেরা। মজুত করে রাখা কয়লার কাগজপত্রও ছিল না তাঁদের কাছে। কয়েকটি কারখানার মাটি খুঁড়েও মজুত করে রাখা চোরাই কয়লা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, “আশপাশের অবৈধ খাদান থেকে কয়লা ঢুকছে এই কারখানাগুলিতে।
অন্য দিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চোরাই কয়লায় চলা এই কারখানাগুলি থেকে এলাকায় দূষণ ছড়ায়। কোনও দূষণ বিধিও মেনে চলা হয় না। তাঁদের ক্ষোভ, কারখানার চিমনিগুলি বেশি উচ্চতায় রাখা হয়নি। ফলে কয়লার গুঁড়ো মেশা কালো ধোঁয়ায় গোটা অঞ্চল সব সময় ঢাকা থাকে। তাঁরা জানান, পুলিশি অভিযান চলার সময়ে যখন কারখানাগুলি চোরাই কয়লা ব্যবহার করতে পারে না, তখন দূষণ একটু কমে। কিন্তু অভিযান বন্ধ হলেই ফের চোরাই কয়লার ব্যবহার শুরু হয়। দূষণে জেরবার হন তাঁরা। তাঁদের ক্ষোভ, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আসানসোল শাখাকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি কোনও। যদিও এক আধিকারিক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা। |
|
|
|
|
|