বামেরা জয়ী জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনে
লপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে জয়ী হলেন বাম-প্রার্থীরা। শুক্রবার বেশি রাতে ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, ২৩ জন নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে সিপিএম প্রভাবিত ‘গণতান্ত্রিক আইনজীবী সঙ্ঘ’-এর প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ১০টি আসনে। সভাপতি-সহ চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদই দখল করেছেন বাম-প্রার্থীরা। সভাপতি পদে সিপিএম প্রার্থী বিমল মিত্র জয়ী হয়েছেন। সম্পাদক পদে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন অভিনন্দন চৌধুরী।
পাশাপাশি শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনে কংগ্রেসের আইনজীবী সেল সমস্ত কর্মকর্তা পদে জয়ী হয়েছে। কার্যকরী সমিতির ৯টি আসনের মধ্যে একটি তৃণমূল এবং একটিতে বামেরা জয়ী হয়েছে। বাকি ৭টি পদেও কংগ্রেস সেলের সদস্যরাই জিতেছে। গত বার শিলিগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন ছিল জোটের দখলে। জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের ৮টি গুরুত্বপূর্ণ পদের একটিতেও জয় পায়নি কংগ্রেস। তবে সংগঠনের সহ-সভাপতি ও সহ-সম্পাদকের পদে তৃণমূল প্রভাবিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। কার্যকরী কমিটির ৪টি আসনেও জয় পেয়েছে তৃণমূল। দীর্ঘকাল ধরে ওই বার অ্যাসোসিয়েশনে বাম-বিরোধী শক্তির প্রভাব ছিল। রাজ্যে ক্ষমতা পরিবর্তনের পরে সেই হিসেব উল্টে দিয়ে বামেদের এই জয় তাই কিছুটা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
‘গণতান্ত্রিক আইনজীবী সঙ্ঘ’-এর জেলা সহ-সভাপতি সুজিত সরকার বলেন, “গত কয়েক মাসে রাজ্য সরকারের কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ হয়ে বার আসোসিয়েশনে একটি তৃতীয় শক্তি তৈরি হয়েছিল। সচেতন ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন আইনজীবীরা ওই তৃতীয় শক্তিকে সমর্থন করেছেন।” জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহন বসু বলেন, “জোট না হওয়ার সুযোগ নিয়েই বামপন্থীরা ভালো ফল করেছেন।” পাশপাশি, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি তথা সরকারি আইনজীবী সোমনাথ পাল বলেন, “দলের নির্দেশে আমরা একক শক্তিতে লড়েছিলাম। পর্দার আড়াল থেকে সিপিএম ঘুঁটি সাজিয়েছিল।”
ভোটে ধরাশায়ী হওয়ার জন্য শিলিগুড়ি আদালতের তৃণমূল আইনজীবী সেল প্রকারান্তরে কংগ্রেসকে দায়ী করেছে। আইনজীবী সেলের সভাপতি তথা সরকারি আইনজীবী পীযূষকান্তি ঘোষ বলেন, “জোটবদ্ধ ভাবে লড়াইয়ের জন্য কংগ্রেসকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কংগ্রেস সাড়া দেয়নি। তবে এই ফলাফলের ইতিবাচক দিক আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছি সেটা স্পষ্ট হল।” জোট না-হওয়ার জন্য কংগ্রেসের তরফে সংগঠনের সদস্যদের অনড় মনোভাবকে কারণ হিসাবে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী কংগ্রেসের আইনজীবী সেলের কর্মকর্তা সুরেশ মিত্রুকা বলেন, “আমাদের সদস্যরা তৃণমূলের সঙ্গে জোট চাননি। সদস্যদের মনোভাবকে সম্মান জানিয়ে একক ভাবে লড়াই করেছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.