আর একটা হার মানে, টিমের সেমিফাইনাল ভবিষ্যতের উপর বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন বসে যাওয়া। বলতে গেলে, ডেকান চার্জার্স ম্যাচটা মরণ-বাঁচন ম্যাচ হয়ে দাঁড়াচ্ছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে। আর তার আগে ভালই চাপে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এতটাই যে অধিনায়ক হরভজন সিংহকে পর্যন্ত বলতে হচ্ছে, টিমকে জেতাত গেলে তাঁর নিজের পারফরম্যান্সের আরও উন্নতি দরকার।
এই মুহূর্তে মুম্বইয়ের জয়-হারের অনুপাত সমান সমান। ৮ ম্যাচে জয় ৪। হার ৪। পয়েন্ট আট এবং লিগ টেবিলের সাত নম্বরে। সচিন ফিরেছেন মুম্বইয়ের হয়ে, কিন্তু টিমের পারফরম্যান্সে তেমন কোনও বদল আসেনি। শুক্রবারই সহবাগের দিল্লি পিষে দিয়েছে ৩৭ রানে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আবার এ দিন জানিয়ে দিয়েছে পেসার মিশেল জনসনকে আর এ বারের আই পি এলে পাবে না মুম্বই। বাঁ পায়ের অস্ত্রোপচারের পরে তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। হরভজন বলছেন, “নিজের জন্য, টিমের জন্য আমার পারফরম্যান্সে উন্নতি আনা দরকার। গত দু’তিনটে ম্যাচে আমি মোটেও ভাল বল করছি না। রান দিচ্ছি প্রচুর।” প্রসঙ্গত, দিল্লি-র বিরুদ্ধে ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়েছেন হরভজন!
কোনও অজুহাত খুঁজছেন না। মুম্বই অধিনায়ক বরং টিমের খারাপ পারফরম্যান্সের দায় নিচ্ছেন নিজে। বলছেন, “সবারই এ রকম খারাপ সময় যায়। কিন্তু সেটা কোনও অজুহাত হতে পারে না। আমি নিজেই দায়টা নিচ্ছি। আমার আরও ভাল বল করা উচিত।” আশা করছেন, টিম ফিরে আসবে। এবং ফেরার যুদ্ধে প্রধান ভূমিকা নেবেন তিনি। বলছেন, “আমি প্রচুর খাটব। চেষ্টা করব টিমের কাজে আসার জন্য। যেমন অতীতে করেছি। এখনও কয়েক বছর আমি খেলতে পারি। ভাল সময় যেমন বেশি দিন থাকে না। তেমনই খারাপ সময়ও টেকে না বেশি দিন। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি ভাল সময় ফেরত আসবে আমার জীবনে। টি টোয়েন্টিতে বোলাররা মার খেয়েই থাকে। রান দেয়। কিন্তু আমার কাজ তো উইকেট নেওয়া। সেটা করে যেতে হবে।”
একে দিল্লির কাছে বিশ্রী হার। তার উপর ডেকানের বিরুদ্ধে কায়রন পোলার্ডকে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয়। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের কাঁধে চোট। দিল্লি ম্যাচে হারের সঙ্গে যা জুটেছে মুম্বইয়ের। হরভজন বলছেন, “ঠিক জানি না ওর কাঁধের অবস্থাটা কী রকম। আশা করব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। পোলার্ড ম্যাচ উইনার। আশা করছি খুব তাড়াতাড়িই ওকে পাব টিমে।” |