বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার ফের উত্তেজনা ছড়ায় নোনাডাঙায়। এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রথমে ১৪ জনকে আটক করা হয়। কিন্তু কয়েক জনের বাড়িতে বাচ্চা থাকায় পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রশাসনের অভিযোগ, নোনাডাঙায় কেএমডিএ -র ওই জমিতে বহিরাগত কিছু লোক জবরদস্তি বস্তি তৈরি করেছিল। পুলিশ তাদের সরিয়ে বেড়া দেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু এদের মধ্যে কয়েকটি পরিবার ফের ওই জমিতে অস্থায়ী ভাবে তাঁবু খাটিয়ে থাকতে শুরু করে, খুলে ফেলে কিছু অংশের বেড়াও। প্রশাসন এ দিন সেই বেড়া ফের লাগাতে গেলে গণ্ডগোল বাধে। পুলিশের দাবি, বেড়া দেওয়ার সময় উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের উপরে লাঠি চালায়। এমনকী, শিশু -মহিলাদেরও লাঠির আঘাত লাগে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জমির এক দিকে বেড়া লাগানোর চেষ্টা করছেন কেএমডিএ -এর কিছু কর্মী। পাশেই লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সংলগ্ন কলোনির বাসিন্দারা। সেখানে রয়েছে পুলিশও।
কেএমডিএ -র তরফে গোটা নোনাডাঙার মাঠটিকেই ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। যে বাসিন্দারা এখনও ওই মাঠে বাস করছেন, তাঁরাই যাতায়াতের জন্য বেড়ার কিছু অংশ খুলে ফেলছেন। এই নিয়ে পাশের কলোনির বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁদের গোলমাল লেগেই থাকে।
উচ্ছেদ হওয়া বস্তির বাসিন্দাদের দাবি, পাশের ওই কলোনি এলাকায় নলকূপ থাকায় তাঁরা জল আনতে ও দিকের বেড়া খুলেছিলেন। কিন্তু এ দিন পুলিশের সামনেই কলোনির বাসিন্দারা তাঁদের উপর চড়াও হয়। যদিও পুলিশ ও কলোনির বাসিন্দারা এই অভিযোগ মানেননি।
নোনাডাঙার আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে কলোনির বাসিন্দাদের খেপিয়ে তোলা হচ্ছে।
এ দিন আন্দোলনকারীরা পুলিশের মাধ্যমে কেএমডিএ -র সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও করেন। তাঁরা জানান, মাঠে যাঁরা এখনও থাকছেন তাঁদের যাতায়াতের জায়গা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। পুলিশ জানিয়েছে, বাসিন্দাদের দাবির কথা কেএমডিএ -কে জানানো হয়েছে। |