‘সঙ্কটের দিনে’ কাজ ছেড়ে না-যাওয়া এবং আরও ‘একনিষ্ঠ হয়ে’ কাজ করার জন্য হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের কর্মচারীদের কাছে আবেদন করলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শনিবার সংস্থা পরিদর্শনে আসেন মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নন্দিনী চক্রবর্তী ও সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পার্থসারথি ভট্টাচার্য।
বেলা এগারোটা নাগাদ পেট্রোকেমে পৌঁছে প্রথমেই সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিল্পমন্ত্রী। তার পর কারখানা পরিদর্শন করে কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসেন। বিশ্ব বাজারে পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পের প্রধান কাঁচামাল ন্যাপথার মূল্যবৃদ্ধি এবং উৎপাদিত পণ্যের বাজারে মন্দা চলায় বর্তমানে সঙ্কট চলছে দাবি করে পার্থবাবু বলেন, “সামগ্রিক ভাবেই অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছে। হলদিয়া পেট্রোকেমও সঙ্কট থেকে মুক্ত নয়। তবে সবাই মিলে কাজ করলে এক বছরে এই সঙ্কট থেকে ঘুরে দাঁড়ানোও অসম্ভব নয়।”
ঠিক কী ভাবে সঙ্কট কাটানো সম্ভব? এই প্রশ্নে শিল্পমন্ত্রীর জবাব, “পেট্রোকেমে রাজ্য সরকারের যে শেয়ার রয়েছে, তা ধরে রাখা হবে। কোথায় খরচ কমানো যায়, তা-ও দেখছি।” সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে অনেক কর্মচারী ইতিমধ্যেই কাজ ছেড়েছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় পার্থবাবুর আর্জি, “কেউ কারখানা ছেড়ে যাবেন না। যাঁরা গিয়েছেন তাঁদেরও ফিরে আসার অনুরোধ করব। কর্মীদের মনে রাখতে হবে, গাফিলতি না-থাকলে সুদিন আসবেই।”
কর্মীদের তরফে কেমিক্যাল স্টোরের আশিস সিদ্ধান্ত বলেন, “কাঁচামাল আমদানি ও পণ্য রফতনিতে খরচ বাড়ছে। হলদিয়া বন্দরের নাব্যতার অভাবেও শিল্পের গতি নষ্ট হচ্ছে।” অনুসারী শিল্প বাড়ানোরও দাবি করেন কয়েক জন কর্মী। সব মতামতই গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করা হবে বলে শিল্পমন্ত্রী জানান। সঙ্কট-মুক্তি নিয়ে কর্মচারীদের মতামত জানার চেষ্টায় কারখানায় ‘সাজেশন বক্স’ রাখার জন্যও এ দিন নির্দেশ দেন পার্থবাবু। |