অফ ক্যামেরা অনীক দত্ত-র মুখোমুখি হলেন পথিক পণ্ডিত
হ্যান্ডসাম। কলেজজীবনে প্রচুর প্রেমের প্রস্তাব পেতেন?
অনীক:(হেসে) কলেজজীবনে যেমন হয় সবার, তেমনই হয়েছে। তবে প্রোপোজালের বন্যা বইত না! আমাদের সময় এত ছেলেমেয়েরা অবাধে ঘুরে বেড়াতে পারত না। বাবা-মা’রা কলেজ পড়ুয়া মেয়েদেরও একলা ছাড়ত না। সেই সময় খুব দুঃখের দিন গিয়েছে।

আপনার ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’-এর সাফল্যকে যদি টোয়েন্টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে তুলনা করি, আপনি খুশি হবেন?
অনীক: (হা হা হা হাসি) আমার খুশি-অখুশির ব্যাপার নয়। এটা টোয়েন্টি টোয়েন্টি না করে, যে কোনও ফর্ম্যাটই বলতে পারেন। ফার্স্ট টেস্টে সেঞ্চুরির সঙ্গেও তুলনা হতে পারে। তবে এটা খুব ডেঞ্জারাস। দেখা গিয়েছে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং আরও দু’এক জন ছাড়া ফার্স্ট টেস্টে যাঁরা সেঞ্চুরি করেছেন, তাঁরা কিন্তু পরবর্তী কালে ধেড়িয়েছে।

আই পি এল-ফাইভ দেখছেন?
অনীক: ক্রিকেট ভালবাসি বলেই বোধ হয় আই পি এল দেখি না। আমার যদি কোনও ক্ষমতা থাকত, তা হলে এটা তুলেই দিতাম। দুর্ভাগ্যবশত, পেটের দায়ে আই পি এলের ক্রিকেটারদের নিয়ে বিজ্ঞাপনের ছবিও করতে হচ্ছে!

‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ দেখে আপনার কাছে বাঙালি দর্শকদের এক্সপেকটেশন বেড়ে গিয়েছে। এতে কি চাপ আরও বেড়ে গেল?
অনীক: না, আমি চাপ নেওয়ার পাত্র নই। একটু খানিক ধন্দে পড়েছি, কোন স্ক্রিপ্টটা নিয়ে আগে ছবি বানাব। দুটো স্ক্রিপ্ট রেডি। একটা স্ক্রিপ্টের প্রথম দিকটা মজার, শেষটা আবার সিরিয়াস। অন্যটা হুডানিট থ্রিলার। আর একটা জিনিস হল আবার বিজ্ঞাপনের ছবিতে ঢুকে গিয়েছি, অতএব...।

ফিল্মের প্রতি আগ্রহ কি ছোট থেকেই?
অনীক: এটা বলা খুব মুশকিল। মা-বাবার হাত ধরে কিছু ছবি দেখেছি। স্কুল থেকেও নিয়ে যাওয়া হত ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’-এর মতো ছবি দেখাতে। একটা হিন্দি ছবি দেখানো হয়েছিল বাবার এক অবাঙালি বন্ধুর রেকমেন্ডেশনে, ‘হাতি মেরা সাথী’। এই ছবিটাতে আবার রাজেশ খন্না আর তনুজার মধ্যে প্রেমট্রেমের ব্যাপারস্যাপার ছিল বলে বাবার পছন্দ হয়নি জিনিসটা। আলাদা করে ফিল্মের প্রতি আগ্রহ তৈরি হল যখন টেলিভিশন এল। তখন টেলিভিশন জিনিসটা আমাদের কাছে এক বিস্ময়! সেখান থেকে সিনেমা নিয়ে আরও কিছু জানা, পড়ার জন্য ‘চিত্রবাণী’ লাইব্রেরির মেম্বারও হয়েছিলাম।

আপনি তো ভাল ছবিও আঁকতেন, ছবি আঁকাটাকেই প্রফেশন করলেন কেন?
অনীক: আসলে আমি শিয়োর ছিলাম না, আমি কোন দিকে যাব। আমাদের পারিবারিক চা-বাগানের ব্যবসা ছিল। সুতরাং ধরা ছিল আমি ব্যবসায় যাব। আবার অনেকে বলতেন, ‘তুমি এত ভাল ছবি আঁকো, তবে কেন আর্ট কলেজে ভর্তি হচ্ছ না।’

ছবি তৈরির কথা ভাবলেন কবে?
অনীক: কলেজ থেকে বেরিয়ে অ্যামেচার ইংরেজি এবং বাংলা নাটকে অভিনয় করতে শুরু করলাম। সিনেমা করার একটা অদম্য ইচ্ছে সে সময় থেকেই টের পাই। এবং বাবার এস এল আর ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে আরম্ভ করি। তখন থেকেই ছবি তৈরি করার কথা ভাবি, তবে কাজটা হল অনেক পরে।

এত দেরি হল কেন?
অনীক: প্রথমে পারিবারিক ব্যবসায় পাঠানো হল। পালিয়ে এলাম। হিন্দুস্থান টম্পসন বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করতে করতে বছর দুয়েক বাদে চাকরিটা ছেড়ে দিলাম। চাকরি ছাড়ার প্রথম কারণ, ছবি করার অদম্য ইচ্ছে। সে সময় এন এফ ডি ছাড়া প্রডিউসার পাওয়া খুব মুশকিল হত। একটা পলিটিক্যাল থ্রিলার করার জন্য দৈব্যক্রমে এক জন প্রডিউসারও পেয়ে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে কিছু অ্যাডভান্সও করেছিলেন। তার পর একটা অদ্ভুত ঘটনা হল, যার ছবির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, অথচ ছবিটা বন্ধ হয়ে গেল। আবার আমি ঢুকে গেলাম কর্পোরেট ছবি এবং টেলিভিশন কমার্শিয়াল তৈরির কাজে।

ছোটবেলা কোথায় কেমন কেটেছে? পড়াশোনা? পরিবারে কে কে আছেন?
অনীক: কলকাতায়। কলকাতা ছেড়ে আমি থাকতে পারি না। সে দিক থেকে আমাকে কূপমন্ডুকও বলতে পারেন। আর পড়াশোনা? সাউথ পয়েন্টে শুরু, ক্লাস ফোরের মাঝামাঝি সময়ে পাঠভবনে চলে যাই। এবং পাঠভবন থেকেই পাস-আউট করি। তার পর সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে ইকনমিক্স নিয়ে গ্র্যাজুয়েট। পরিবারে আছেন আমার স্ত্রী আর মেয়ে।

ছবি তৈরির ইন্সপিরেশন কে?
অনীক: সত্যজিৎবাবু। আবার এত দিন যে ছবি করিনি, সেটার জন্যও সত্যজিৎ রায় দায়ী (হাসি)। কারণ? আমার বার বার মনে হত আমার শহরেরই একটা লোক ‘অপরাজিত’র মতো ছবি করেছেন, সেটা আমি কোনও দিনই বানাতে পারব না। সুতরাং ছবি বানিয়ে কী লাভ? (হা হা হাসি)

সাহিত্যনির্ভর ছবি করার পরিকল্পনা নেই?
অনীক: ভাল গল্প পেলেই করব। সাহিত্য নির্ভর হলেই ছবি ভাল হবে তারও তো কোনও গ্যারান্টি নেই।

আপনি তো অ্যাক্টরদের পরিচালনা করেন, আপনাকে?
অনীক: (হাসি) আপনি যে উত্তরটা আশা করছেন, আমার স্ত্রী আমাকে পরিচালনা করেন কি না, তাই তো? আমার মনে হয় না। স্ত্রী বলেন, আমি নাকি সব জিনিসকে কন্ট্রোল করতে চাই। সব কিছু প্ল্যানমাফিক করি।

নেক্সট ‘টেস্ট ম্যাচ’-এর জন্য কি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন?
অনীক: (হা হা হা হাসি) নেক্সট টেস্টের মাঝখানে ওয়ান ডে চলছে (পড়ুন বিজ্ঞাপনের কাজ)। সুতরাং, ওয়ান ডে শেষ হলেই টেস্টের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ব।
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার যে অবস্থা তাতে বোঝাই যাচ্ছে, কলেজ পরিচালন সমিতির কোনও কোনও সদস্য সকালে ‘জগ করতে যাওয়া’ কথাটাকে ‘জগ’ ছুড়তে যাওয়া ভেবে নানা গোলমালে জড়িয়ে পড়ছেন!
নকুল। টাকি

জ্যোতিবাবুর দলের সমর্থকদের ঘৃণা করতে বলে খাদ্যমন্ত্রী প্রমাণ করলেন যে, তিনি আর যা-ই হোক ‘জ্যোতিপ্রিয়’ নন!।
রহস্যময়। চন্দননগর

আগে ছেলেমেয়েদের বিয়ে ঠিক হলে বলা হত, ‘বিয়ের ফুল ফুটবে’! বোঝাই যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের নতুন প্রজাপতি ব্রহ্মার শাসনে কেবল ফুল ফুটলেই হবে না, ‘জোড়া ফুল’ ফুটতে হবে!
কপিল সর্দার। ঝাপটের ঢাল

আগে দেখা হত পাত্র-পাত্রী থ্যালাসেমিক বা এইচআইভি পজিটিভ কি না। এখন ‘সিপিএম পজিটিভ’ কি না, দেখে নিতে হবে!
রণিতা বসুরায়। দক্ষিণেশ্বর

মুখ্যমন্ত্রীর ঔদ্ধত্য, অহেতুক উষ্মা, সমালোচনা সহ্য করতে না পারার মনোভাবগুলো তাঁর পূর্বসূরির কথাই মনে করায়। তাঁর উদ্দেশে কবীর সুমনের গানটা একটু অন্য ভাবে গাইতে ইচ্ছে হয়: তিনি বুদ্ধ হলেন... বুদ্ধ হলেন...!
বোধিসত্ত্ব। বড়িশা

আমরা ভাগ্যবান, এ বঙ্গে ব্যঙ্গ ব্যান্ড!
সুশান্ত ঘোষাল।

ব্যঙ্গচিত্র ‘ফরওয়ার্ড’ করার অভিযোগে অধ্যাপক মহাশয়কে হাজতবাস করিয়ে প্রশাসন বোঝাল, রাজ্যে পরিবর্তন ঘটলেও সরকারের গতিবিধি কিন্তু ‘ব্যাকওয়ার্ড’ই রয়েছে!
দেবব্রত ঘোষ। সল্ট লেক

ভারত দিল ‘অগ্নি’, চিন দিল আলু! আমাদের কপালে ওই আলুপোড়াই আছে!
আর শুভ্রাংশু। চন্দননগর

ইডেনে পুলিশের কন্ট্রোল রুমই যখন উড়ে যাচ্ছে, তখন পুলিশ তো কন্ট্রোলের বাইরে যাবেই!
মণিদীপা। তেঘড়িয়া

কেন্দ্র কি বর্তমানে কাবুলিওয়ালার ভূমিকায় অবতীর্ণ? আসল নেহি মাঙ্গতা, কেবল সুদ মাঙ্গতা!
অরুণ গুপ্ত। কলকাতা

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলায় ডিভিলিয়ার্স ও সৌরভ তিওয়ারির হাতে আশিস নেহরার মার খাওয়ার একটাই কারণ, গ্যালারি থেকে দর্শকদের ক্রমাগত চিৎকার : ‘নে হারা নে হারা’!
উজ্জ্বল গুপ্ত। তেঘড়িয়া

সুজন বন্দ্যোপাধ্যায়
ফোনে অনুরোধ শুনেই উনি বললেন, ‘উদয়শংকরের উপরে লেখা? আচ্ছা, কাল মঙ্গলবার, কালই সকাল দশটা নাগাদ চলে আসুন।’ ঠিক সময়েই বিশপ লেফ্রয় রোডের বাড়িতে হাজির হলাম। সত্যজিৎ রায় বললেন, ‘উদয়শংকরের উপরে ইস্যু করছেন বলেই ডেকে পাঠালাম, না হলে আমি এখন যা ব্যস্ত তাতে লেখার সময় বার করাই কঠিন। তার উপরে দিন পনেরো বাদেই কিছু দিনের জন্যে বিদেশ যেতে হবে। কিন্তু উদয়শংকরের একটা জিনিস সকলের জানা দরকার, সেটা ওঁর করা একটা সিনেমা, ‘কল্পনা’।’
সত্যজিৎ রায় তাঁর সেই বিখ্যাত লাল চেয়ারে বসে বলেছিলেন: ‘চল্লিশের দশকের গোড়ার দিকে কানে এসেছিল উদয়শংকর একটা সিনেমার পরিকল্পনা করছেন। সেটা রিলিজ করল ১৯৪৮ সালে। আমি ভেবেছিলাম নৃত্যশিল্পী হিসাবে তিনি যতই মহান হন, সিনেমা সম্বন্ধে তাঁর কতটা ধারণা থাকা সম্ভব? ছবিটা রিলিজের দিনই আমি দেখেছি। দেখলাম এটা নির্ভেজাল সিনেমা, এ দেশে তখন যে সিনেমা হত তার থেকে একেবারে আলাদা। কম্পোজিশান, আলোর ব্যবহার, ক্যামেরার অ্যাঙ্গল, ভীষণ সাবলীল। আমি এই সিনেমাটা দেখেছিলাম মোট এগারো বার। সিনেমাটা কিন্তু খুব চলেনি, আসলে কী জানেন, ‘কল্পনা’র কদর আমাদের দেশে ক’জনই বা করতে পেরেছেন? কোনও ভাল প্রিন্টও বোধ হয় পাওয়া যাবে না। কিন্তু উদয়শংকরের একটা সিনেমাই যে কত ইম্প্রেসিভ, মর্ডান তার একটা ডকুমেন্ট থাকা দরকার। ‘কল্পনা’র উপরে একটা ছোট লেখা আপনাদের দেব। এটা খুব জরুরি। আগামী রোববার সকাল দশটা নাগাদই আসুন, লেখা তৈরি থাকবে।’
ছোট লেখাটি যে নির্দিষ্ট দিনে ঠিক সময়েই পেয়েছিলাম তা বলাই বাহুল্য, কারণ সত্যজিৎ রায়ের কাছে সেটা খুব জরুরি ছিল।
যাত্রীকে স্বর্গেই পাঠাবে? তাই রসাতলে আজ মর্ত?
দু’দু’খানা রানওয়ের বুকে, বড় বড় এক জোড়া গর্ত।
এ বিমান চলে গেল ঢাকা, ফেটে যেতে পারতই চাকা।
এখন তো নানা অজুহাতে নানা ভাবে সব দোষ ঢাকা।
ঘুঁটে মালা পাবে নেই সন্দ, কলকাতা বিমান বন্দর
ভাঙড়ের ছড়া: দাদার হাতে জগ ছিল
ছুড়ে মেরেছে, উঃ, দিদি বড্ড লেগেছে!

পম্পা রাণী সর্দার, লক্ষ্মীকান্তপুর
ক্ষমা চাইছি
ইলেভেনে পড়ি। একটি দৈনিকে পত্রমিতালি বিভাগে নাম প্রকাশের জন্য চিঠি পাঠালাম। ‘সাধন’ নামে নিজের নাম নথিভুক্ত করার পর এক দিন বদবুদ্ধি চাপল। ছাপিয়ে দিলাম ‘সাধনা দাস’। ‘সাধন’ নামে দশটা চিঠি এল ‘সাধনা’ নামে এল পঞ্চাশটা। আলিপুরদুয়ারের এক তরুণ কবিকে বাছলাম, চুখাতে কর্মরত। রোমান্টিক এই প্রেমিক কবি পাঁচ বছর ধরে ‘সাধনা’ ভেবে সাধনের সঙ্গে প্রেম করল। আমি পাড়ার এক সুন্দরী মেয়ের ছবিও পাঠিয়ে দিলাম। সে মুগ্ধ হয়ে স্বরচিত কাব্যগ্রন্থ, গ্রিটিংস কার্ড, পার্সেল করা শাড়ি পাঠাতে থাকল; আমি এম এ পড়তে গিয়ে বেলঘরিয়ার মাসির বাড়িতে আছি শুনে সেও এক দিন বেলঘরিয়া হাজির। ঘটনাচক্রে আমার মাসির বাড়ির পাশেই তার মামার বাড়ি। দুই বাড়ির দিদিদের কানাকানিতে ঘটনাটা ফাঁস হয়ে গেল। তরুণটি নিশ্চয়ই তার আত্মীয়দের কাছে অপমানে ও লজ্জায় লাল হয়ে উঠেছিল। এই বালখিল্য আচরণের জন্য বন্ধুটির কাছে ক্ষমা চাইছি।
সাধন দাস, মুর্শিদাবাদ

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.