খেলা
চর্চা বাড়াতে
প্রচার কম। চর্চাও দু’-তিনটি ক্লাবেই সীমাবদ্ধ। সাফল্যও সে ভাবে আসেনি। তবে ব্যাডমিন্টন চর্চা থেমে থাকেনি। এ বার জেলা ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার আয়োজন করল হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন। আসর বসেছিল ব্যাতর ব্যায়াম সমিতির মিনি ইন্ডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। সিংহভাগ সাফল্য পেলেন আয়োজক ক্লাবের প্রতিযোগীরাই।
তিন দিনের এই প্রতিযোগিতায় ৪৪ জন অংশ নিলেন। এর মধ্যে ব্যাতর ব্যায়াম সমিতির ২৯ জন, শিবপুর ইউথ অর্গানাইজেশনের ১০ জন এবং চ্যাটার্জিহাট যুব সংগঠনীর পাঁচ জন। দু’টি বিভাগে নেমে দু’টিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে নজর কাড়ল কেদারনাথ ইনস্টিটিউশনের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মণিদীপা দে। ব্যাতর ব্যায়াম সমিতির এই প্রতিযোগী অনূর্ধ্ব ১৩ এবং অনূর্ধ্ব ১৫ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হল ওই ক্লাবেরই পৃথা দাসকে হারিয়ে। এ বারই দিল্লিতে জাতীয় ব্যাডমিন্টনে প্রথম বার নেমে অনূর্ধ্ব ১৩ বিভাগে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল মণিদীপা।
ছবি: রণজিৎ নন্দী
জেলা প্রতিযোগিতায় পুরুষদের সিঙ্গলস খেতাব জয়ের পরে ডাবলসেও চ্যাম্পিয়ন হলেন ব্যাতরের স্বস্তিক বসু। রামরাজাতলায় বাবার সঙ্গে রঙের দোকান চালান। ছোটবেলায় ব্যাডমিন্টন চর্চা শুরু করেন স্বস্তিক। সাইতে অনুশীলন করতেন। মাঝে খেলা ছেড়ে দেন। বছর তিনেক হল আবার খেলায় ফিরেছেন।
অনূর্ধ্ব ১১ ক্যাডেটে চ্যাম্পিয়ন হয় ব্যাতরের জয় মালভনিয়া। রানার্স হয় ওই ক্লাবের দীপ্তার্ক কর। অনূর্ধ্ব ১৩ বালকদের খেতাব জিতে নেয় চ্যাটার্জিহাটের কিঞ্জল গুহ। অনূর্ধ্ব ১৫ বিভাগের ফাইনালে কিঞ্জলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তার ক্লাবেরই দিশান্ত দেবনাথ।
ক্লাবের পক্ষে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বললেন, “অর্থাভাব রয়েছে। কষ্টের মধ্যে চালাতে হচ্ছে।” হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাডমিন্টন সচিব সিতাংশু দাস বলেন, “জেলা ব্যাডমিন্টনের ছবিটি সত্যিই ভাল নয়। আমরা চাই হাওড়ার আরও ক্লাবে খেলাটি চালু হোক। সাধ্যমতো সহযোগিতা করব। ব্যাতর ব্যায়াম সমিতির জন্য রাজ্য সংস্থা থেকে দু’জন প্রশিক্ষক আনার ব্যবস্থা করেছি।” প্রতিযোগিতার শেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (সদর) সুকেশ জৈন।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.