শিশু মৃত্যুর জেরে রোগীর আত্মীয়দের হাতে প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ তুলে নিরাপত্তার দাবিতে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন নার্সরা। মঙ্গলবার সকালে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে হাসপাতাল সুপার স্বপন সরকারকে তাঁর কার্যালয়ে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অন্য দিকে, সোমবার সন্ধ্যায় শিশু মৃত্যুর জেরে সদর হাসপাতালের তিন জন নার্স ও এক জন চিকিৎসককে নিগ্রহ করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আলমগীর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়া মফস্সল থানার হাতোয়াড়া গ্রামে। তিনি মৃত শিশুর আত্মীয়। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে তাঁকে হাসপাতাল থেকেই গ্রেফতার করা হয়। এ দিন তাঁকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। |
চলছে বিক্ষোভ। ছবি: সুজিত মাহাতো। |
সোমবার সন্ধ্যায় রটে যায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই রোগীর বাড়ির লোকজন চিকিৎসক ও নার্সদের নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও রাতে জানিয়েছিলেন, তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে এ দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনটি নয়, শুধু মাত্র পুরুলিয়া মফস্সল থানার হাতোয়াড়া গ্রামের রাজীবা বিবির ১১ দিনের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, সংক্রমণজনিত রোগে শিশুটি আক্রান্ত ছিল। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। নার্সরা এ দিন দাবি করেন, “হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যবস্থা করতে হবে।” সুপার বলেন “নার্সরা হাসপাতালে রোগীদের পরিষেবা দেন। অথচ ওই কাজ করতে গিয়ে তাঁরা রোগীদের হাতেই নিগৃহীত হচ্ছেন। ফলে তাঁদের ক্ষোভ হওয়াটা স্বাভাবিক। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রোধে আমরা কড়া ব্যবস্থা নেব।” |