দাসপুর ও বাঁকুড়ায় উপনির্বাচন ১২ জুন |
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এবং বাঁকুড়া সদর বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচন হবে আগামী ১২ জুন। গণনা ১৫ জুন। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্ঘন্ট জানানো হয়েছে। এর ফলে মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলায় নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হয়ে গেল। এ দিনই একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করতে পশ্চিম মেদিনীপুরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লালগড়ে ও ডেবরায় শিলান্যাসের দু’টি পৃথক অনুষ্ঠান হয়। দুপুরে লালগড়ের অনুষ্ঠানের আগে উপ-নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়নি। ফলে, সেখানে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস মমতা নিজেই করেন। তবে সন্ধ্যায় ডেবরায় পৌঁছনোর আগে জেলায় নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হয়ে যায়। তাই মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনোর আগেই তড়িঘনি শিলান্যাস সেরে ফেলেন প্রশাসনিক কর্তারা। পরে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ডেবরায় পৌঁছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “উপ-নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ফলে, জেলায় শিলান্যাস, উদ্বোধন করা যায় না। কিন্তু আমি মঞ্চে আসার আগেই শিলান্যাস হয়ে গিয়েছে।” তৃণমূলের দুই বিধায়কের মৃত্যুতে ওই দুই বিধানসভা কেন্দ্রে উ-পনির্বাচন করতে হচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ওই দুই বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১৮ মে। ওই দিন থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৫ মে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৮ মে। ভোট নেওয়া হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
|
লোহাচুর কেলেঙ্কারিতে জামিন, তবু দেবাদিত্য আটকে অন্য মামলায় |
বিদেশে লোহাচুর রফতানি নিয়ে প্রচুর টাকা তছরুপের একটি মামলায় মঙ্গলবার জামিন পেলেন আইএএস অফিসার দেবাদিত্য চক্রবর্তী। কিন্তু তাঁর মুক্তি হচ্ছে না। কারণ, লোহাচুর রফতানিতে আর্থিক কেলেঙ্কারির অন্য একটি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এবং সেই মামলায় এখনও তাঁর জামিন হয়নি। ফলে তাঁকে এখনও জেলেই থাকতে হচ্ছে। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি দেবাদিত্যবাবুকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। এই আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় প্রাক্তন এক আইএএস অফিসারও অভিযুক্ত। তিনিও জেলে রয়েছেন। এ দিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের চতুর্থ বিশেষ বিচারকের এজলাসে দেবাদিত্যবাবুর জামিনের আবেদনের শুনানি হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, ২৩০ কোটি টাকা তছরুপের ঘটনায় ওই আইএএস অফিসার অভিযুক্ত। তদন্তের কাজ বাকি রয়েছে। ওই কেলেঙ্কারিতে বিদেশের কয়েক জন ব্যবসায়ীও অভিযুক্ত। দেবাদিত্য চক্রবর্তী জামিন পেলে তদন্তের কাজে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা তো আছেই। ওই বিদেশি ব্যবসায়ীদের প্রভাবিতও করতে পারেন তিনি। দেবাদিত্যবাবুর আইনজীবী আদালতে জানান, বিদেশি ব্যবসায়ীদের প্রভাবিত করার আশঙ্কা অমূলক। কারণ, ২০০৪-এ এই মামলার তদন্ত শুরু হয়। তাঁর মক্কেল গ্রেফতার হন ২০১২-র ফেব্রুয়ারিতে। বিদেশিদের প্রভাবিত করার ইচ্ছা থাকলে তিনি আগেই তা করতে পারতেন। এই মামলায় আদালতে চার্জশিটও পেশ করা হয়েছে। পুলিশের নতুন করে তদন্ত করার কিছু নেই। তাই অকারণে তাঁকে আটকে রাখা উচিত হবে না। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত ওই আমলার জামিন মঞ্জুর করে। |