আমাদের স্কুল

ছান্দরা হাইস্কুল (আরামবাগ)

প্রতিষ্ঠা ১৯৪২ সাল।
ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১২১৭।
মোট শিক্ষক-শিক্ষিকা ২২ জন।
অশিক্ষক কর্মচারী ৪ জন। পার্শ্বশিক্ষিকা ৩ জন।
২০১১ সালে মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ১১৭ জন। উত্তীর্ণ ১১৫ জন।
 
গ্রন্থাগারের সমস্যা এখনও ভোগাচ্ছে বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের
স্বপনকুমার অধিকারী
স্কুলটিকে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীন করার দাবি দীর্ঘ দিনের। দূরে দূরে ১০-১২টি গণ্ডগ্রামের তফসিলি ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত দুঃস্থ, নিম্নআয়ভুক্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা এখানে আসে। স্কুলটি এই সব পরিবারের পড়ুয়াদের দায়িত্ব নিয়ে চলেছে দীর্ঘ দিন ধরে। সেটাই স্কুলের মূল গর্বের বিষয়। ছান্দ্রা গ্রামের সম্ভ্রান্ত কাজি পরিবারের ভূমিদানে ১০৩২ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসাবে স্কুলটির পথচলা শুরু। এরপরে ১৯৪২ সালে এমই স্কুল এবং পরে ১৯৫৩ সালে মাধ্যমিক স্কুলের স্বীকৃতি মেলে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নির্দশন হিসাবেও এই স্কুলের বিশেষ পরিচয় আছে। ছান্দ্রা গ্রামের কাজি পরিবারের ভূমিদান এবং বিরাটি গ্রামের শিক্ষানুরাগী ক্ষিতীশচন্দ্র মিত্রের আর্থিক বল-শ্রম-পরিকল্পনায় গড়ে উঠেছিল এই স্কুল। স্কুলের পরিবেশ বিশেষ আকর্ষণীয়। মুণ্ডেশ্বরী নদীর তীরবর্তী নানান গাছগাছালির ছায়ায় ঘেরা স্কুল-চত্বর। প্রচুর পাখির আনাগোনা। এই বিদ্যালয় থেকে পাস করে বেরোনো ছেলেমেয়েরা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। মানসিক ও নৈতিক শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় এখানে। সর্বশিক্ষা মিশনের অনুদানে মাধ্যমিক পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষের অভাব মিটলেও উচ্চ মাধ্যমিকের স্বীকৃতি লাভের বাধা হতে পারে প্রয়োজনের তুলনায় কম শ্রেণিকক্ষ। স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় সেই অভাব পূরণের চেষ্টা চলছে। বিধায়ক তহবিলের টাকায় স্কুলের সীমানা প্রাচীরের কাজ আংশিক হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল রাখার ছাউনি এখনও তৈরি করা যায়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সহায়তায় মাঝে মধ্যেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সংস্কার হয়। মিড ডে মিল প্রকল্প এবং বৃত্তিমূলক কারিগরী শিক্ষা চালু হয়েছে। সহকারী প্রধান শিক্ষক পদটি শূন্য। নিজস্ব খেলার মাঠ নেই। নেই প্রয়োজনীয় কমনরুম, ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরি। নিয়মিত কম্পিউটার শিক্ষাও চালু হয়নি। আরও শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা দরকার। অভাবী মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির ব্যবস্থা হওয়া জরুরি।

আমার চোখে
অয়ন নন্দী
শ্রেণিকক্ষে পড়া বুঝতে অসুবিধা হলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছুটির পরে কিংবা নিজেদের বিশ্রামের সময়ে তা আলাদা করে ডেকে বুঝিয়ে দেন। পড়াশোনা ছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের গতিবিধির উপরেও নজর রাখেন তাঁরা। পড়া না পারলে যত না বকুনি শুনতে হয়, কারও আচরণ খারাপ দেখলে সকলের সামনে বকাঝকা হয় আরও বেশি। স্কুলের সমস্ত পড়ুয়াদের মধ্যে সুনাগরিক হওয়ার সুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হয় এ ভাবে। এটাই স্কুলের প্রধান বৈশিষ্ট্য বলে আমার মনে হয়। তবে লাইব্রেরি নেই, কমনরুম নেই। একটি কম্পিউটার থাকলেও নিয়মিত শিক্ষাদানের ব্যবস্থা নেই। মাঠের অভাবে খেলাধূলার চর্চা হয় না বললেই চলে। তবে সংস্কৃতি চর্চা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালনে গুরুত্ব দেওয়া হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.