|
|
|
|
তালিকায় নেই কলকাতা |
ফের সস্তার বিমান চালাবেন গোপীনাথ |
সুনন্দ ঘোষ • কলকাতা |
মাঝে ক’টা দিন কিছুটা চুপচাপ থাকার পরে এ বার নিজের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন ক্যাপ্টেন জি আর গোপীনাথ। আবার একটি সস্তার বিমান সংস্থা নিয়ে আসছেন তিনি। এই বছরের শেষে দেশের কয়েকটি শহর থেকে তাঁর এই নতুন বিমান পরিষেবা চালু হবে। তবে তিনি নিজে এখনই এ নিয়ে বিশদে কিছু বলতে নারাজ। তাঁর কথায়, “নতুন বিমানসংস্থার জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমতি আমি পেয়েছি। এখন এর বেশি আর কিছু বলছি না।” জানা গিয়েছে, গোপীনাথের উড়ান মানচিত্রে গুয়াহাটি থাকলেও প্রথম পর্যায়ে কলকাতা নেই। রয়েছে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ।
২০০৩ সালে ‘এয়ার ডেকান’ চালু করে গোটা দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন গোপীনাথ। সেটাই ছিল দেশের প্রথম সস্তার বিমান পরিষেবা। যার দৌলতে মাত্র এক টাকাতেও বিমানে চড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন অনেকে! কিন্তু আর্থিক সঙ্কটের কারণে ২০০৭ সালে ‘এয়ার ডেকান’কে বিক্রি করে দেন গোপীনাথ। কিংফিশারের কর্ণধার বিজয় মাল্য ডেকান কিনে নিয়ে ‘কিংফিশার রেড’ নাম দিয়ে চালাতে শুরু করেন। কিন্তু মাল্যর সেই কিংফিশার নিজেই এখন চরম আর্থিক সঙ্কটে। গোপীনাথের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ২০০৭ সালে মাল্যের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল গোপীনাথের। তাতে বলা ছিল, পাঁচ বছরের মধ্যে গোপীনাথ নির্ধারিত সূচি মেনে কোনও যাত্রী-বিমান পরিষেবা চালাতে পারবেন না। তাই ২০১২ সালের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তাঁকে। মাঝের এই সময়টা অবশ্য গোপীনাথ চুপ করে বসে ছিলেন না। ২০০৯ সালে পণ্য পরিবহনের জন্য ‘ডেকান ৩৬০’ নামে একটি বিমানসংস্থা শুরু করেন। সেটি অবশ্য সফল হয়নি। |
|
ক্যাপ্টেন গোপীনাথ ফাইল চিত্র |
২০১০ সালে ‘ডেকান চার্টার্স লিমিটেড’-এর নামে ১৯ আসনের একটি বিমান নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন গোপীনাথ। তাঁর ইচ্ছে ছিল, কলকাতা থেকে কোচবিহার ও জামশেদপুরে উড়ান পরিষেবা শুরু করা। কোচবিহার বিমানবন্দর তখন তৈরি ছিল না। কলকাতা-জামশেদপুর উড়ান শুরু করেন তিনি। সেই বিমান যে সংস্থার থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল, তার মেয়াদ ফুরোনোয় বিমানটিকে ফেরত পাঠাতে হয়। এখনও ডেকান চার্টার্স-এর নামে কলকাতা বিমানবন্দরে একটি হ্যাঙ্গার ভাড়া নেওয়া আছে।
১৯৯৮-এ গোপীনাথ ব্যবসা শুরু করেন ‘ডেকান চার্টার্স’-এর নামে। ‘নন-শিডিউল’ (নির্ধারিত সূচি মেনে যারা উড়ান চালায় না) বিমান সংস্থার লাইসেন্সও রয়েছে সংস্থার নামে। বেঙ্গালুরু থেকে সংস্থার সিইও কর্নেল পুবাইয়া ফোনে বলেন, “১২টি হেলিকপ্টার, তিনটি ছোট প্রপেলার বিমান এবং পাঁচটি ছোট বিজনেস-জেট রয়েছে। সেগুলি নিয়মিত ভাড়া দিই। সেই সংস্থার নামেই শিডিউল বিমান সংস্থা চালু করতে চান গোপীনাথ। ‘এয়ার ডেকান’ নামটা মানুষের মনে এতটাই দাগ কেটে গিয়েছে যে, ‘ডেকান’ নামটা গোপীনাথ ছাড়তে চাইছেন না!”
সূত্রের খবর, নতুন বিমানসংস্থা শুরু করার জন্য গোপীনাথের হাতে রয়েছে ২টি বড় এয়ারবাস-৩২০ বিমান এবং তিনটি ছোট এটিআর-৭২ বিমান। বেশ কয়েকটি বিমান ভাড়ায় নেবেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, আপাতত ২১টি শহর রয়েছে গোপীনাথের উড়ান মানচিত্রে। |
|
|
|
|
|