|
|
|
|
অগ্নিসংযোগে গ্রেফতার সাত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
রক্ষীর অভিযোগের ভিত্তিতে সাংসদ তারিণী রায়ের গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের বাড়ি পুন্ডিবাড়ির বাহান্নঘর ও লাগোয়া এলাকায়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম উকিল অধিকারী, অজিত সরকার, নিতাই সরকার, আনন্দ সরকার, শ্যাম মন্ডল, মিলন দাস ও পরিমল সরকার। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসির ৩৫৩ ধারায় সরকারি কাজে বাধা, ৩৩২ ধারায় সরকারি প্রতিনিধির ওপর হামলা, ৩৭৯ ধারায় ছিনতাই, ৪৩৫ ধারায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ সহ মোট ছয়টি ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “নিরাপত্তা রক্ষীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। আরও যারা যুক্ত ছিলেন তাদের ধরতেও অভিযান চালানো হবে।” সোমবার ধৃতদের কোচবিহার জেলা আদালতে তোলা হলে ৭ জনেরই জামিন নামঞ্জুর করে দেন বিচারক। কোচবিহারের সিজেএম অংশুমান বন্দোপাধ্যায় তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ফের ৪ মে তাদের আদালতে তোলা হবে। অভিযুক্তদের আইনজীবী বরুণ দত্ত বলেন, “এফআইআরে কারও নাম ছিল না। পুলিশ সন্দেহের বশে ওই সাত জনকে ধরেছে। এমনকী ঘটনাস্থলের বাইরে সকলের বাড়ি। এদিন জামিন মঞ্জুর না হলেও পরের শুনানির দিন ফের তাদের জামিনের আবেদন জানানো হবে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংসদের গাড়ির ধাক্কায় বাহান্নঘরে পরিক্ষিৎ সরকার নামে এক বাইক আরোহী জখম হন। ওই ঘটনা ঘিরে উত্তেজিত জনতার ক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যসভার সাংসদ তথা সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক তারিণী বাবু। তার নিরাপত্তা রক্ষীকে পরিস্থিতি সামলাতে শূন্যে দুই রাউন্ড গুলি চলাতে হয়। নিরাপত্তা রক্ষী চঞ্চল ঘোষ কোচবিহার কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে তাঁকেও মারধরের পাশাপাশি মোবাইল ছিনতাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|