বোলপুরে ‘বিষক্রিয়ায়’ মৃত্যু দু’জনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
‘বিষক্রিয়ায়’ মৃত্যু হল দু’জনের। অসুস্থ আরও দু’জন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতেরা হলেন হেমচন্দ্র দাস (৩০) ও বিশ্বনাথ দাস (৩২)। তাঁদের বাড়ি বোলপুর থানা এলাকার নোয়ালডাঙাল ও রতনপুর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুরের নোয়ালডাঙা গ্রামে শনিবার একটি নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠান ছিল। রাতে ওই হেমচন্দ্র দাস, বিশ্বনাথ দাস-সহ প্রায় জনা পনেরো বাসিন্দা খাবার খাওয়ার পাশাপাশি মদও খেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে চারজন রবিবার সকাল থেকেই অসুস্থবোধ করেন। রাতে চার জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে দু’জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, “অসুস্থ অবস্থায় চার জন ভর্তি হয়েছিলেন। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় না মদের বিষক্রিয়ায় ওই দু’জন মারা গিয়েছেন, তা ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সুনিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।”
সোমবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রতীক দাস বলেন, “আনন্দ করার জন্য শনিবার বিকেলে আমরা কয়েকজন মদ খেয়েছিলাম। রবিবার সকাল থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ি। বাড়াবাড়ি হওয়ায় রাতেই আমাদের হাসপাতালে আনা হয়।” |
|
বাজেয়াপ্ত মদের বোতল। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
এ দিকে ওই দু’জনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় তৃণমূল সমর্থক-কর্মীরা বিভিন্ন বেআইনি মদের দোকানে চড়াও হয়। বোলপুর থানার আইসি কমল বৈরাগ্য-র নেতৃত্বে বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে বেশ কিছু জাল মদ তৈরির সরঞ্জাম-সহ একটি বোতলের ছিপি সিল করা যন্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়। পাড়ুই ও বোলপুর থানার পুলিশ জাল মদ বিক্রির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সোমবার বিভিন্ন এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু সিল করা জাল মদ। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “মদে বিষক্রিয়ায় দু’জন মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে আমরা জেনেছি।” বোলপুরের মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি জানিয়েছেন, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই বিস্তারিত ভাবে জানা যাবে। |
|