|
|
|
|
নার্সিংহোমের বর্জ্য আর নেবে না পুরসভা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
চলতি মাসের পর থেকে শহরের নার্সিংহোম ও পরীক্ষাগারগুলির বর্জ্য নষ্ট করার দায়িত্ব আর নেবে না কালনা পুরসভা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রতিষ্ঠানগুলিতে ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনের সূচ, সিরিঞ্জ, গজ, তুলো ইত্যাদি ও পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত মল, মূত্র, কফ, রক্ত-সহ নানা নমুনার অতিরিক্ত অংশ নষ্ট করার মতো পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তাদের নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উপ-পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ জানান, সম্প্রতি একটি বৈঠকে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম ও পরীক্ষাগারগুলির প্রশাসনিক কর্তাদের এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে কালনা পুরসভা। পরিবর্তে জামুড়িয়ার একটি বেসরকারি সংস্থাকে ওই কাজে নিয়োগ করার ব্যাপারে তাঁদের পরামর্শ দিয়েছে পুরবোর্ড।
বর্তমানে কালনা শহরে নার্সিংহোমের সংখ্যা ১৩টি। নানা নমুনা পরীক্ষা করার জন্য রয়েছে ১৮টি পরীক্ষাগার। সেখানে মল, মূত্র, কফ, থুতুর নমুনা সংগৃহীত হয়। পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত অংশ ছাড়া অতিরিক্ত নমুনা বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়। বহু বছর ধরে পরীক্ষাগারগুলি থেকে ওই বর্জ্য সরানোর কাজ করে আসছে কালনা পুরসভা। তার বিনিময়ে নার্সিংহোম ও পরীক্ষাগারগুলি থেকে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকও নেয় তারা। কিন্তু বর্তমান পুরবোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা আর ওই বর্জ্য নষ্ট করার দায়িত্ব নেবে না। তাদের দাবি, ওই বর্জ্য থেকে প্রচুর দূষণ ছড়ায়। সেগুলি সম্পূর্ণ ভাবে নষ্ট করার মতো কোনও পরিকাঠামোও তাদের নেই। তাই অবৈজ্ঞানিক ভাবে বর্জ্য নষ্ট করতে তারা আর রাজি নন বলে দাবি পুরসভার। বর্ধমান জেলায় মেমারি পুরসভা ছাড়া অন্য কোনও পুরসভাই ওই পরিষেবা দেয় না বলে তাদের দাবি।
সম্প্রতি কালনা পুরসভার তরফে এ ব্যাপারে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (ভারপ্রাপ্ত) নিশীথ মণ্ডল, মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষচন্দ্র মণ্ডল, মহকুমা প্রশাসনের অন্য আধিকারিক-সহ ওই নার্সিংহোম ও পরীক্ষাগারগুলির প্রশাসনিক কর্তারা। বৈঠকে পুরসভার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, আর এই কাজ করতে তারা নারাজ। জামুড়িয়ার একটি বেসরকারি সংস্থা জেলার নার্সিংহোম ও পরীক্ষাগারগুলি থেকে ওই বর্জ্য নিয়ে থাকে। সেই সংস্থাকে দিয়েই নার্সিংহোম ও পরীক্ষাগারগুলিকে ওই কাজ করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই সংস্থার পারিশ্রমিকের হার বেশি বলে পরীক্ষাগারগুলির তরফে আপত্তি করা হয়। যদিও পুরসভা তা গ্রাহ্য করেনি। দেবপ্রসাদবাবু জানান, চলতি মাসে আগের মতোই পরিষেবা দেবে পুরসভা। তিনি বলেন, “ওই সংস্থার প্রতিনিধিদেরকে শুক্রবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। পরিকাঠামো তৈরির ব্যাপারে তাঁরা যদি মাস শেষ হওয়ার পরে কিছু দিন সময় চান, তা বিবেচনা করে দেখবে পুরসভা।” |
|
|
|
|
|