|
|
|
|
২৬শে সুব্রত শিলিগুড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
উত্তর বঙ্গের সিপিএম ও কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত ৬টি জেলার সভাধিপতিদের সঙ্গে কাজের অগ্রগতি নিয়ে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে বৈঠক বসছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেখানে অবশ্য উত্তরবঙ্গের ওই ৬টি জেলার জেলাশাসকরাও থাকবেন। এর মধ্যে কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত মুর্শিদাবাদ জেলার অর্থিক ক্ষমতা সভাধিপতির হাত থেকে কেড়ে নিয়ে জেলাশাসকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবুও ওই জেলার সভাধিপতিকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে বলে সোমবার জানান পঞ্চায়েতমন্ত্রী। তিনি জানান, ওই জেলার সভাধিপতির আর্থিক ক্ষমতা ছাড়া সব ক্ষমতা রয়েছে। উন্নয়নের প্রশ্নে তাঁকেও আলোচনায় ডাকা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, “উত্তরবঙ্গে তরাই ও ডুয়ার্সের চা বাগান এলাকা রয়েছে পঞ্চায়েতের মধ্যে। আর চা বাগান মূলত লিজ জমিতে গড়ে উঠেছে। চা বাগানের শ্রমিকরাও সেই জমিতেই বসবাস করেন। ফলে ১০০ দিনের কাজ, ইন্দিরা আবাস যোজনা-সহ পঞ্চায়েতের সুযোগ সুবিধা তাঁরা পান না। সাংবিধানিক ভাবে ওই এলাকার বাসিন্দারা ১০০ দিনের কাজ পাওয়ার অধিকারী। তা না দিতে পারা সাংবিধনিক অধিকার খর্বের সামিল।” মন্ত্রী বলেন, ওই সব পঞ্চায়েত এলাকার সমস্যা মেটাতে প্রয়োজনে আইন সংশোধনের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব করব। তার আগে তরাই-ডুয়ার্সের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে আলোচনা করেই প্রস্তাব দোব। তিনি জানান, ওই এলাকার প্রায় ৯ লক্ষের বেশি মানুষ আইনি জটিলতায় পঞ্চায়েতি সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সুব্রতবাবু বলেন, রাজ্যের বেশির ভাগ এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে পাইপের মাধ্যমে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, পানীয় জলের পাইপ মাঝে মধ্যেই ফাটিয়ে দিয়ে অন্যায় ভাবে জল টেনে নেওয়া হচ্ছে। তাতে জল সরবরাহও বিঘ্নিত হচ্ছে। কিন্তু আইনে এমন বিধান নেই যাতে পানীয় জলের পাইপ ফাটিয়ে অন্যায় ভাবে জল নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। চলতি বাজেট অধিবেশনে বিল আনা হচ্ছে, যাতে ওই ধরণের অপরাধের শাস্তির বিধান থাকবে। |
|
|
|
|
|