রাজ্যের সেরা গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বীকৃতি পাচ্ছে বর্ধমান জেলার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত। সেরা পঞ্চায়েত সমিতি হিসেবে পুরস্কৃত হতে চলেছে পাণ্ডবেশ্বর। আজ, মঙ্গলবার দিল্লিতে ‘জাতীয় পঞ্চায়েত রাজ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের মোট দু’টি পঞ্চায়েত সমিতি, ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও একটি জেলা পরিষদের কর্তাদের হাতে সেরার শিরোপা তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।
সেরার পুরস্কার এত দিন দেওয়া হত রাজ্য পর্যায়ে। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েতগুলির স্বমূল্যায়ণের ভিত্তিতে নির্বাচিত সেরাদের পুরস্কার দিত রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। এ বার থেকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরও পুরস্কার দেওয়ার প্রথা চালু করল। সেরা জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত কী ভাবে নির্বাচন করতে হবে সে বিষয়ে নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরই দিয়ে দেয় বলে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর। এ বার পুরস্কারটি দেওয়া হচ্ছে ২০০৯-২০১০-এর কাজকর্মের নিরিখে।
জেলা থেকে পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি এবং কাঁকসার ত্রিলোকটন্দ্রপুর, পূর্বস্থলীর মুকসিমপাড়া ও মেমারির দুর্গাপুর পঞ্চায়েত পুরস্কৃত হচ্ছে। বামফ্রন্টের দখলে থাকা পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিখা মণ্ডল বলেন, “ঠিক সময়ে বাজেট পেশ থেকে শুরু করে ব্লক সংসদ ও স্থায়ী সমিতির সভা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্বনির্ভরতা-সহ উন্নয়নমূলক কাজের যে মূল্যায়ণ হয়েছে, তাতে আমরা খুশি। এতে অনুপ্রাণিত হয়ে আরও ভাল কাজ করার চেষ্টা করব।”
সিপিএমের দখলে থাকা ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের প্রধান সবিতা গায়েন বলেন, “স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নে জোর দিয়েই এমন স্বীকৃতি মিলেছে। প্রথমে রাজ্য সরকারের, পরে কেন্দ্রীয় দল এসে পরিদর্শন করে গিয়েছে।” তবে অসুস্থ থাকার কারণে তিনি পুরস্কার নিতে যেতে পারেননি বলে জানালেন। সিপিএমের দখলে থাকা মেমারির দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম মজুমদার অবশ্য দিল্লি গিয়েছেন। উপ-প্রধান মদনমোহন মণ্ডল জানালেন, এই সাফল্যে এলাকার সকলেই খুব খুশি। তিনি বলেন, “বিশেষত একশো দিনের প্রকল্পে ভাল কাজ হয়েছে।” তৃণমূল-বিজেপি জোটের দখলে থাকা মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান বাবুল মজুমদার আবার বলেন, “পঞ্চায়েতের কাজে যুক্ত সবার চেষ্টায় এই সাফল্য।” |