সম্মেলন-পর্ব এগিয়ে আনার কথা ঘোষণা করেও দলের মধ্যে কাজিয়া সামাল দিতে জেরবার হচ্ছে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক! সম্মেলনের আগে প্রথামাফিক সদস্যপদ পর্যালোচনার জন্য জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ফ ব-র রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠকেও মাথাচাড়া দিচ্ছে প্রবল বিতণ্ডা! অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সম্মেলন না-হওয়া পর্যন্ত দলের কাজ পরিচালনার দায়িত্বে আপাতত জেলা সম্পাদকের মাথার উপরে বসাতে হয়েছে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিশিকান্ত মেটাকে। অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য আর এক ‘কুখ্যাত’ জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তিন জন সদস্য বিশেষ দায়িত্বে থাকলেও বিবাদ মিটছে না! ৪ মে ফের ওই জেলার সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব। পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েকটি জেলার সম্পাদকমণ্ডলীকে গত দু’দিনে রাজ্য দফতরে আলোচনায় ডেকেছিলেন অশোকবাবুরা। তার প্রেক্ষিতে সোমবার রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীও বৈঠকে বসেছিল। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, “যে ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে, এক কথায় তা মেটা সম্ভব নয়। পশ্চিম মেদিনীপুরে আপাতত নিশিকান্তবাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সম্মেলন পর্যন্ত। উত্তর ২৪ পরগনায় বিবদমান দুই শিবিরকে এক টেবিলে বসানো গিয়েছে, এটাই বড় কথা! ওঁদের সঙ্গে আবার ৪ মে বৈঠক করার কথা হয়েছে। বর্ধমানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। হুগলির বৈঠক এখনও করা যায়নি।” প্রসঙ্গত, এই সবক’টি জেলার নেতৃত্বই আড়াআড়ি দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন!
|
সংবাদমাধ্যমের একাংশ ‘ব্রেকিং নিউজ’ দেওয়ার জন্য বিকৃত সংবাদ পরিবেশন করছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার ‘সরকারের বক্তব্য’ রেকর্ড করে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। সোমবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, সব সাংবাদিক এমন করেন না, কেউ কেউ করেন। তাঁদের সংযত থাকার অনুরোধ জানিয়ে মমতার অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁর একটি মন্তব্যে আবেদন শব্দটি বদলে ‘হুমকি’ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “এই দুটোয় অনেক তফাত। আমার এতে অসুবিধা হচ্ছে। বিষয়টা বুঝুন।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমি যখন এখানে সাংবাদিক সম্মেলন করি, তখন প্রশাসনের হয়ে কথা বলি। রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়। দয়া করে তাতে রং চড়াবেন না। আমি ‘অফিশিয়ালি’ যেটুকু বলব, দয়া করে আপনারাও সেটুকুই বলুন।” কোনও ঘটনায় সাংবাদিকদের ভূমিকাও যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সে কথা স্মরণ করিয়ে মমতা বলেন, “কোনও স্পর্শকাতর খবর থেকে দাঙ্গা পর্যন্ত বাধতে পারে। প্রতি সেকেন্ডে ‘ব্রেকিং নিউজ’ দেখানোর জন্য মিথ্যা খবর পরিবেশনের কী প্রয়োজন?”
|
বাম জমানায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে রাস্তা তৈরি না করেই সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাদের দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় এই সব রাস্তা তৈরির ছাড়পত্র দেওয়া হোক। কিন্তু আজ সেই দাবি খারিজ করে দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, আজ বৈঠকে রাজ্যের প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, আগের আমলে ওই সব মোরাম রাস্তা তৈরিই হয়নি। ভুল করে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। তাই নতুন করে রাস্তা তৈরির অনুমতি দেওয়া হোক। রমেশ বলেন, মোরাম রাস্তাকে পাকা করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু এক বার তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে দেখানো রাস্তা ফের তৈরি করার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, বাম জমানায়, ২০০০ সালে এই যোজনার আওতায় রাজ্যের ১৬ হাজার ৩০০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এর ১৫ হাজার কিলোমিটার রাস্তাই হচ্ছে মোরাম রাস্তা। |