|
|
|
|
পুরপ্রধানকে আক্রমণ তৃণমূল সমর্থকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
পুরপ্রধানকে স্মারকলিপি দিতে এসে তাঁকে চেয়ার ছুড়ে মারতে গেল এক তৃণমূল সমর্থক।
জঙ্গিপুর পুরসভার কর্মী জিয়াউর রহমান নামে ওই তৃণমূল সমর্থককে পুলিশ আটক করেছে। জিয়াউরের অবশ্য দাবি, “স্মারকলিপি দেওয়ার সময় পুরপ্রধানই আমাকে প্রথমে মারতে গিয়েছিলেন।” জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান সিপিএমের মোজাহারুল ইসলাম অবশ্য পুলিশের কাছে এ নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ করতে চাননি। ফলে সন্ধে নাগাদ ওই তৃণমূল সমর্থককে ছেড়ে দেয় পুলিশ। সোমবার দুপুরে জঙ্গিপুর পুরসভায় এই ঘটনার অবশ্য নিন্দা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য শেখ ফুরকান। তিনি বলেন, “ঘটনাটি নিন্দনীয়। আমাদের দল কখনওই এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করে না। তবে অনেকেই এখন আমাদের দলের ছত্রছায়ায় আসতে চাইছেন। ওই যুবকের বাবা এক সময়ে সিপিএম সমর্থিত কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁর ছেলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই।”
জঙ্গিপুর হাইস্কুলে ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংখ্যালঘু ছাত্রীদের জন্য একটি আবাস তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূলের দাবি, ছাত্রী আবাসটি জঙ্গিপুর মুনুরিয়া হাইমাদ্রাসায় করতে হবে। পুরপ্রধান মোজাহারুল ইসলাম বলেন, “পুরসভা থেকে পুর এলাকার দু’টি স্কুলেরই নাম পাঠানো হয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরে। গত বছর তারই একটির অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার। ওই দফতরই ছাত্রী আবাসটি গড়ার জন্য জঙ্গিপুর হাইস্কুল চত্বরটি বেছে দিয়েছিল। সেখানে যথারীতি নির্মাণও শুরু হয়েছে। সরকারি নির্দেশের বাইরে গিয়ে আমরা কাজ করতে পারব না।”
এ নিয়েই স্থানীয় তৃণমূল সোমবার স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল পুরপ্রধানের কাছে। স্মারকলিপি দেওয়ার সময়ে আচমকাই ওই পুরকর্মী একটি চেয়ার তুলে তেনে যান পুরপ্রধানের দিকে। অফিসের কর্মীরা তাকে ধরে ফেলেন। পুরপ্রধান বলেন, “খবর পেয়ে ওই যুবকের বাড়ির লোক আসেন। তাঁদের অনুরোধে আমি আর কোনও অভিযোগ করিনি।” |
|
|
|
|
|