|
|
|
|
স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা, ধৃত স্বামী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
শিশুকন্যার সামনেই স্ত্রীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি পটাশপুর থানা এলাকার খটিবাড় হরিপুর গ্রামের। ধৃত মানস দলুইকে সোমবার কাঁথি এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক চোদ্দো দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত মানসের বাবা ও মা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় কবিতা দলুই নামে ওই বধূ পটাশপুর-২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। তিন বছরের শিশুকন্যা মণি রয়েছে কবিতাদেবীর বাবা বিজয় শ্যামলের কাছে।
কবিতা ও মানসের বিয়ে হয় ২০০৫ সালে। খাড়ান গ্রামের বাসিন্দা বিজয়বাবু রবিবার থানায় অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে কবিতার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলছিল। কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ায় নির্যাতন আরও বাড়ে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে কয়েকবার সালিশির ব্যবস্থা করা হলেও লাভ হয়নি। কেরালায় একটি হোটেলের কর্মী মানস বছরে কয়েক বার বাড়িতে আসতেন। আর সে সময়েই অত্যাচার বাড়ত। মাস দু’য়েক আগে বাড়ি আসেন মানস। সে সময় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন কবিতা। মানস আর কর্মস্থলে ফিরে যাননি। অত্যাচার চলতেই থাকে।
কবিতাদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, শনিবার বিকাল থেকেই মারধর শুরু হয়। রাতে তাঁকে এবং তাঁর মেয়েকে খেতেও দেওয়া হয়নি। ঘুম না আসায় জেগেই ছিলেন তিনি। রাত ১২টা নাগাদ আচমকাই সেই ঘরে ঢুকে তাঁকে বঁটি দিয়ে কোপাতে থাকেন মানস। তিনি চিৎকার করলে মেয়ে উঠে পড়ে। এরপর মানস একটি নাইলনের দড়ি এনে গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের চালার কাঠে ঝোলানোর চেষ্টা করেন তাঁকে। ততক্ষণে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। কবিতাদেবীকে ওই অবস্থায় দেখে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী মানসকে মারধর করেন। রাতেই তাঁরা খবর দেন থানায়। পুলিশ কবিতাদেবীকে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মানসকে গ্রেফতার করে। আতঙ্কিত বিজয়বাবু বলেন, “কবিতাকে খুনের পর নাতনিকেও মেরে ফেলত ওরা।” |
|
|
|
|
|