|
|
|
|
অঞ্জনকে জেরা সিআইডির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
‘মুখ্যমন্ত্রীর ভাই’--এই ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে কাঁথিতে ধৃত ‘হিডকো’র এক সময়ের জনসংযোগ আধিকারিক অঞ্জন ভট্টাচার্যকে জেরা করল সিআইডি। কলকাতার ভবানী ভবন, খড়্গপুর ও তমলুক থেকে সিআইডি অফিসারদের একটি দল সোমবার কাঁথি থানায় এসে অঞ্জনকে জেরা করে। আজ, মঙ্গলবার ফের সিআইডি-র দল ধৃতকে জেরার জন্য আসতে পারে বলে কাঁথি মহকুমা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অঞ্জনকে নিয়ে সিআইডি-র এই তৎপরতায় নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
গত শুক্রবার কাঁথি থানার পুলিশ অঞ্জনকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাঁকে আদালতে হাজির করে আরও জেরার জন্যে ৫ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। ধৃত অঞ্জন ভট্টাচার্য প্রাক্তন আবাসনমন্ত্রী গৌতম দেবের সময় ‘হিডকো’য় চুক্তির ভিত্তিতে জনসংযোগ অফিসারের কাজ করতেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তাঁর কাছ থেকে সংবাদ চ্যানেলের ‘প্রেসকার্ড’ও পেয়েছে পুলিশ। গত বিধানসভা ভোটে বীরভূমে এক কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচারে সক্রিয় ছিলেন তিনি। পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃতের একাধিক বিয়ে। কাঁথির কাজলায় এক মহিলার সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। কী উদ্দেশ্যে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি কাঁথিতে এসেছিলেন, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ও সিআইডি। শুক্রবার বিকেলে লালবাতি লাগানো গাড়িতে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি কাঁথির মহকুমাশাসক সুমিত গুপ্তের অফিসে আসেন। নিজেকে ‘মুখ্যমন্ত্রীর ভাই’ পরিচয় দিয়ে মহকুমাশাসককে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেন। তাঁর সঙ্গের গাড়িটি খারাপ হয়ে গিয়েছে বলে একটি গাড়ির ব্যবস্থাও করতে বলেন। মহকুমাশাসক তাঁকে কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের অতিথিশালায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। অঞ্জন বার বার মহকুমাশাসককে বলেন, এই ব্যবস্থাপনার খবর যেন গোপন থাকে। এ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় মহকুমা প্রশাসনে। এরই মধ্যে মদ্যপ অবস্থায় ওই ব্যক্তি স্থানীয় একটি গ্রামের মেলায় গিয়ে গোল বাধিয়েছেন বলে খবর আসে। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ভাই কলকাতার বাইরে যাননি। এর পর পুলিশ অঞ্জনকে থানায় ডাকে। তাঁর গাড়িটিও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। গাড়ির ভিতর থেকে লালবাতি, হুটার এবং নগদ ৪৭ হাজার টাকাও উদ্ধার হয়। |
|
|
|
|
|