|
|
|
|
কাঁথি-কাণ্ডে ধরা পড়েও জামিন দুই তৃণমূলকর্মীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি ও তমলুক |
কাঁথির উত্তর কানাইদিঘি গ্রামে বামপন্থী এক মহিলাকে সালিশি সভায় ডেকে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত ২১ তৃণমূল কর্মীর মধ্যে দু’জনকে ধরল পুলিশ। নকুল গুছাইত ও সুব্রত জানা নামে দুই তৃণমূল কর্মীকে সোমবার কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫০০ টাকার জামিনে মুক্তির আদেশ দেন।
পুলিশ লঘু ধারায় মামলা দায়ের করার ফলেই অভিযুক্তেরা জামিন পেয়েছেন বলে বামপন্থী সংগঠনগুলি ফের অভিযোগ করেছে। পুলিশ মূল অভিযুক্তদের ধরার ব্যাপারেও উৎসাহ দেখাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ জৈনের দাবি, অন্য অভিযুক্তদের ধরার জন্যও তল্লাশি চলছে। অভিযোগ ও তার প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতেই মামলার ধারা নির্দিষ্ট হয়েছে বলেও জেলা পুলিশের দাবি। তবে আদালতের নজরদারিতে সিআইডি তদন্তের দাবিতে ইতিমধ্যে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। জেলা পুলিশের উপর ‘অনাস্থা’র কারণেই এই মামলা। আগামী শুক্রবারই হাইকোর্টে ওই মামলার শুনানির কথা। গত ১৫ এপ্রিল রাতে উত্তর কানাইদিঘি গ্রামে সিপিআইয়ের মহিলা সমিতির ওই সদস্যকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অপমানিত ওই মহিলা ভোররাতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখনও হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই মহিলা। তাঁর ছোট ছেলে গত ১৭ এপ্রিল মারিশদা থানায় ২১ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ঘটনা পুলিশে জানানোয় মহিলার কিশোরী কন্যাকেও তৃণমূলের লোকজন বাড়ি বয়ে এসে ‘চরম সম্মানহানি’র হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
মহিলার শ্লীলতাহানি ও তাঁর মেয়েকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কাঁথি-৩ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সমরেশ দাস এবং ব্লক যুব-তৃণমূল সভাপতি সুভাষ মাইতি। তাঁরা এলাকায় থাকলেও পুলিশ ধরার চেষ্টা করছে না বলে সোমবারই তমলুকে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পারভেজ আহমেদ সিদ্দিকি এবং পুলিশ সুপার সুকেশ জৈনের কাছে অভিযোগ করেছে সিপিআইয়ের ‘পশ্চিমবঙ্গ মহিলা সমিতি’র সম্পাদক শ্যামশ্রী দাসের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল। লঘু ধারায় মামলা সাজিয়ে অভিযুক্তদের জামিনের পথও সুগম করে দেওয়া হচ্ছে বলে মহিলা সমিতির অভিযোগ। |
|
|
|
|
|