|
|
|
|
জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস |
আজ দিল্লির অনুষ্ঠানে জঙ্গলমহলের ২ মহিলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
আজ, মঙ্গলবার দিল্লিতে ‘জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসে’র অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন জঙ্গলমহলের দুই মহিলা পঞ্চায়েত প্রতিনিধি। দু’জনই সিপিএমের। এক জন সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী পরীমন পাতর, অন্য জন সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনামিকা সাহু। নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনের প্লেনারি হলে ওই অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।
রাজ্যে পালাবদলের পর গত বছর ২১ সদস্যের সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম সভানেত্রী অপর্ণা মিশ্র-সহ ১৩ জন দলীয় সদস্য ইস্তফা দেন। বাকি ৭ সিপিএম সদস্যের মধ্যে বছর পঞ্চাশের পরীমনদেবী সভানেত্রী হন। এখানে মাত্র একজন সদস্য তৃণমূলের। এই ‘প্রতিকূল পরিস্থিতি’র মধ্যেও ২০১১-১২ অর্থবর্ষে সাঁকরাইল ব্লকে একশো দিনের প্রকল্পে ৩২ দিন কাজ দেওয়া গিয়েছে (পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড় ২৮ দিন) বলে পরীমনদেবীর দাবি। উন্নয়নে বরাদ্দ অর্থের ৬৮ শতাংশ খরচ করা গিয়েছে। নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করা পরীমনদেবীর বাড়ি স্থানীয় প্রহরাজপুর গ্রামে। স্বামী এনভিএফ কর্মী, খড়্গপুরে কর্মরত। ফলে সংসারও সামলাতে হয় পরীমনদেবীকে। তিনি বলেন, “চাষের কাজে নিজেও হাত লাগাই। কোনও দিন এরোপ্লেনে চড়িনি, তাই একটু নার্ভাস লাগছে। তবে অনামিকা আছে বলে ভরসা পাচ্ছি।” |
অনামিকা সাহু |
পরীমন পাতর |
|
কুলটিকরি পঞ্চায়েতের প্রধান বছর সাঁইত্রিশের অনামিকাদেবীর বাপের বাড়ি দমদমে। বিবাহ সূত্রে চোদ্দ বছর আছেন কুলটিকরিতে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথমবার প্রার্থী হয়ে জয়। মহিলা পরিচালিত পঞ্চায়েতটির সাত জন সদস্যই সিপিএমের। তবে রাজ্যে পরিবর্তনের পর গত বছর ৩ জন ইস্তফা দেন। অনামিকাদেবী-সহ ৪ জন এখন পঞ্চায়েতটি চালাচ্ছেন। অনামিকাদেবীর সাফ কথা, “নব্বইয়ের দশক থেকে এই পঞ্চায়েতটি মহিলা পরিচালিত। সব কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ বেশি। সার্বিক স্বাস্থ্যবিধানে (স্যানিটেশন) ও সাক্ষরতায় এগিয়ে রয়েছি আমরা।” প্রধানন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হলে কী বলবেন? পরীমনদেবী ও অনামিকাদেবীর জবাব, “এলাকার উন্নয়নে আরও অর্থ বরাদ্দের অনুরোধ করব। প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উন্নয়ন-কাজে যে পিছিয়ে যাইনি সেটাও বলব।” সোমবার সকালে দমদম থেকে দিল্লিগামী প্লেন ধরেছেন পরীমনদেবী ও অনামিকাদেবী। |
|
|
|
|
|