জোড়া ব্যর্থতার ধাক্কায় মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই রদবদল।
মঙ্গলবার চেলসির বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলতে নামার চব্বিশ ঘণ্টা আগে বার্সেলোনা কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। কেন ফাব্রেগাস, সাঞ্চেস এবং পেদ্রোকে বাদ দিয়ে প্রথম এগারোয় তরুণ উইঙ্গার তেইয়োকে রাখা হল? মাত্র চার বছরের মধ্যে গুয়ার্দিওলার হাত ধরে মোট তেরোটা ট্রফি জিতেছে বার্সেলোনা। এখন দেখার, সাম্প্রতিক ব্যর্থতার আঁচ বুধবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারে কি না!
বার্সেলোনার জন্য আশার খবর একটা। চোট সারিয়ে দলে ফিরতে পারেন পিকে। রক্ষণে সম্ভবত থাকছেন পুওল, পিকে, আলভেস এবং আদ্রিয়ানো। মাঝমাঠে বুস্কেতস, জাভি, ইনিয়েস্তা ও ফাব্রেগাস। ফরোয়ার্ডে মেসি-সাঞ্চেস। গোলে ভালদেস। পিকে-র প্রত্যাবর্তন অবশ্য তফাত গড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও। বেশি পরিবর্তন করতে চাইছেন না চেলসি কোচ রবের্তো দি’মাত্তিও। চার ডিফেন্ডার ইভানোভিচ, টেরি, কাহিল ও কোল। মাঝমাঠে ল্যাম্পার্ড, রাউল, মিকেল, রামিরেস ও মাতা। ফরোয়ার্ডে দ্রোগবা না তোরেস সেটা এখনও ঠিক নেই। দ্রোগবা সুস্থ হলে, তিনি-ই প্রথম পছন্দ। না খেললে তোরেস।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দি’মাত্তিও-ট্যাকটিক্স অবলম্বন করেই লা লিগায় বার্সা-বধ করেছেন মোরিনহো। রক্ষণ অটুট রেখে বল পজেশনে আধিপত্য করতে দেওয়া হবে বার্সেলোনাকে। সুযোগ পেলেই প্রতি-আক্রমণের ছক কষা। তবে এ সবের পরেও ভাগ্যদেবতার সক্রিয় ভুমিকা প্রযোজন শুধু মেসি নামক সাইক্লোনকে থামানোর জন্য। গুয়ার্দিওলা অবশ্য রিয়াল এবং চেলসির বিরুদ্ধে নিজের ট্যাকটিক্যাল ভুল-ভ্রান্তির ব্যাখা দিতে গিয়ে বলেছেন, “যাদের যোগ্য মনে করেছিলাম, তাদের খেলিয়েছি। ওদের বসিয়ে অন্যদের খেলালে উল্টো প্রশ্ন উঠত। হতে পারে ফাব্রেগাস এবং বাকি ফুটবলারদের বসানো উচিত হয়নি। ভবিষ্যদ্বাণী করা তো আর সম্ভব নয়!” |