নিজের ঘরে পুণে ওয়ারিয়র্সের আনন্দের ফেরা। আনন্দ এ জন্য যে, আমাদের দল নিজেদের প্রাণপণ চেষ্টায় জয় আনতে পেরেছি। তা-ও দিল্লির মতো খুব ভাল দলের বিরুদ্ধে। আমি এখনও মনে করি, আমাদের শেষ তিনটে অ্যাওয়ে ম্যাচের একটায় জিততে পারতাম। পরপর তিনটে ম্যাচ খেলার জন্য দেশের দক্ষিণ থেকে উত্তর চষে বেড়ানোটা সত্যিই বেশ কঠিন। গোটা দেশে গরম চড়চড় করে বাড়ছে। এত ঘোরাঘুরি আর প্রতি এক দিন অন্তর খেলতে হওয়ায় শরীরের উপর যথেষ্ট ধকল পড়ে। কিন্তু এ নিয়ে অভিযোগ করার কোনও মানে নেই। এটাই হল একজন ক্রিকেটারের কাছে টি-টোয়েন্টির পৃথিবী।
আমাদের বিদেশি প্লেয়ারদের এ ব্যাপারে বাড়তি কৃতিত্ব প্রাপ্য। কারণ ওদের শুধু এ দেশের বিভিন্ন ধরনের আবহাওয়া, পরিস্থিতি, উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিলেই চলছে না। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রকমের খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে সড়গড় হয়ে পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হচ্ছে। ওরা পেশাদার হতে পারে, কিন্তু মনে রাখা দরকার কাজটা করা আদৌ সহজ নয়। টুর্নামেন্টটাও এ বার ক্রিকেটারদের নিংড়ে নেওয়া শুরু করেছে। চোট-আঘাতের বিশ্রী ফ্যাক্টরটা মাথাচাড়া দিচ্ছে। কিন্তু এ রকম নির্মম ও কঠিন টুর্নামেন্টে তো এ সব ঘটবেই। দিন্দা আপাতত মাঠের বাইরে ছিটকে গেছে, একই অবস্থা মালিঙ্গার। পুণে ভাগ্যবান যে, টিমে আলফনসো টমাসের মতো একজন লড়াকু পেসার রয়েছে। তবে দিন্দার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দলে ফেরাটা খুব দরকার। ও আমাদের টিমের এমন একজন সদস্য, যে তার সাহসী হাবভাব দিয়ে দলের মনোবল বাড়িয়ে তোলে। এমনকী সাইড বেঞ্চে বসে থাকলেও সেখান থেকে গলা ফাটিয়ে সতীর্থদের চনমনে করে তোলে।
এ বারের আইপিএলে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মতো সূচিটা আমি কিন্তু উপভোগ করছি। এক-একটা দলের বিরুদ্ধে হোম আর অ্যাওয়ে পরপর দুটো করে ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। দর্শকদের কাছে যেটা বাড়তি উৎসাহ তৈরি করছে। ব্যাপারটা অধিনায়কদেরও সাহায্য করছে। সামনের দিনগুলো নিয়ে ক্যাপ্টেনরা পরিকল্পনা করার কিছুটা সুযোগ পাচ্ছে। দিল্লির বিরুদ্ধে আজ ঘরের মাঠে দিনের ম্যাচ। পুণেতে এ বার প্রথম দিনের ম্যাচ। শুকনো গরমে পিচ কেমন ব্যবহার করে সেটা অবশ্যই বুঝে আমাদের খেলতে হবে। পুণে অবশ্য আরও কিছু চমক দেওয়ার জন্য তৈরি। ছেলেরা টেনশনে নেই আর সেটাই স্বাভাবিক, যখন ঝুলিতে দু’পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফেরে কোনও টিম। তবে সেটাকে অতীত মনে করে আমাদের আবার এখান থেকে টেক-অফ করতে হবে। প্রত্যেকটা দিন নতুন, প্রত্যেকটা ম্যাচও নতুন। |