স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বাধায় আরামবাগের মূল রাস্তার গৌড়হাটি মোড় থেকে পারুল অঞ্চল পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে রাস্তার দু’ধারে জায়গা দখল করে থাকা অবৈধ নির্মাণ ভাঙা শুরু করেছিল পূর্ত দফতর। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মহকুমাশাসকের তত্ত্বাবধানে ওই উৎখাত অভিযান শুরু হয়। ভাঙা পড়েছে বেশ কিছু বাড়ির অংশও।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রশাসন কোনও লিখিত নোটিস ছাড়াই নিজেরা মাপজোক করে ভাঙাভাঙির কাজ শুরু করে দিয়েছে। অভিযানের আগের কয়েক দিন শুধু মাইকে প্রচার করা হয়। তবে ভাঙার কাজ সমান্তরাল ভাবে চলছিলই। যদিও কয়েক জন ‘প্রভাবশালী’ ব্যবসায়ীর নির্মাণ অক্ষত আছে বলে ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ। মহকুমাশাসক ও পূর্ত দফতরে এ ব্যাপারে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। এমনকী, প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিয়মকানুন না মেনে জোর-জুলুমের অভিযোগ এনে একটি মানবাধিকার সংগঠনের কাছে দরবারও করেন ওই ব্যবসায়ীরা।
ওই সংগঠনের পক্ষে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। পূর্ত দফতরের কাজ বন্ধের প্রস্তাব দিয়ে পুনরায় মাপজোকের দাবি করেন তাঁরা। সংগঠনের এক আধিকারিকের কথায়, “সরকারি আমিন এবং ব্যবসায়ীদের আমিন যৌথ ভাবে মাপজোক করবে। তার ভিত্তিতে প্রতিটি দখলদারকে লিখিত নোটিস পাঠাতে হবে। পুরসভা নির্মিত মার্কেট কমপ্লেক্সগুলি যাঁরা ৬-৮ লক্ষ টাকা খরচ করে কিনেছিলেন সেগুলি ভাঙা পড়লে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে।”
এ বিষয়ে মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “সমস্ত বিষয়টি পূর্ত দফতর খতিয়ে দেখার পরে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.