|
|
|
|
সরকারি চ্যানেল চালুর পথে গগৈও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
হালে পশ্চিমবঙ্গে প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে জোট সঙ্গী কংগ্রেসের সঙ্গে যতই মতানৈক্য থাক, সরকারি চ্যানেল চালু করার বিষয়ে পড়শি রাজ্য অসমে কিন্তু কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থন পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আজ সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করেন, মমতাকে অনুসরণ করে অসম সরকারও নিজস্ব টিভি চ্যানেল চালু করবে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ও সরকারি প্রকল্পগুলির প্রচারের জন্য ব্যবহৃত হবে চ্যানেলটি। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই অসম সরকারের নিজস্ব সংবাদপত্র রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী গগৈ বলেন, “সমালোচনাকে স্বাগত। কিন্তু তা গঠনমূলক না হলে হিতে বিপরীত ঘটে। সরকারের কাজগুলি বহু সময় বিকৃত বা ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। জনগণ যাতে সরকারি কাজ ও প্রকল্পগুলি সম্পর্কে বিশদ ও নিরপেক্ষভাবে জানতে পারে, তার জন্য নিজস্ব চ্যানেলের বিকল্প নেই।” বেশ কিছু বৈদ্যুতিন চ্যানেল ও প্রচার মাধ্যমকে এক হাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, “সরকার যত ভাল কাজই করুক, ওঁরা আমাদের সব কাজে খুঁত বের করে মানুষকে বিপথে চালিত করছেন। তাই, গোটা বিষয়টিতে ভারসাম্য আনার জন্য সরকারি চ্যানেল চালু করা ছাড়া উপায় ছিল না।”
গগৈ এ দিন খোলাখুলিই বলেন, “আমি মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নই। কিন্তু আমাদের মতামতও সমানভাবে যেন মানুষ জানতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরের দিনে কিছু টিভি চ্যানেল আলফার বন্ধকে এতচাই বড় করে দেখাল, মনে হতে পারে, পরেশ বরুয়ার অঙ্গুলিহেলনেই অসমের মানুষ কাজ করেন। এমন সাংবাদিকতা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর।”
অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান, চ্যানেল চালুর আগে সমাজের সর্বস্তরে বিশদ সমীক্ষা করা হবে। খবর, নানা তথ্য প্রচারের পাশাপাশি বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানও সরকারি চ্যানেলে প্রচারিত হবে। গগৈয়ের আশ্বাস, চ্যানেলে বিরোধীদেরও মতপ্রকাশের পূর্ণ সুযোগ থাকবে। তাঁর মন্তব্য, “সংবাদপত্রও একপেশে খবর ছাপায়। তবে, তারা বৈদ্যুতিন চ্যানেলের মতো বাড়াবাড়ি করে না। অসম সরকার সংবাদমাধ্যমের উপরে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করবে না।” |
|
|
|
|
|