|
|
|
|
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শ |
দিল্লি পাঠানো হল ফরাসি পর্যটকদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
দশ ফরাসি নাগরিক আজ বিহার ছাড়লেন। আজ সকালে তাঁরা পটনা থেকে দিল্লি রওনা হয়ে যান বলে পুলিশ জানিয়েছে। ভিসার নিয়ম না মেনে তাঁরা যেখানে-সেখানে ঘুরছিলেন। তা জানতে পেরে নওয়াদা পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপরেই তাঁদের রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই বিদেশিরা আপত্তিজনক ভাবে বিভিন্ন গ্রামে সভা করছিলেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে পুলিশ অবশ্য মুখ খোলেনি। এমনকী তাঁরা যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে ঘুরতে এসেছিলেন সেই সংগঠন যে মাওবাদীদের সমর্থক এবং পরোক্ষে ওই দলটিও সেই কাজেই সাহায্য করছিল কী না সেই প্রশ্নেরও উত্তর পাওয়া যায়নি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের কাছ থেকে।
পুলিশ জানায়, ফ্রান্সের ওই ১০ নাগরিক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে বিহারে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে আসে। বিভিন্ন জেলতেও তাঁরা যান। মাওবাদী অধ্যুষিত জামুই-এ যাওয়ার পরে পুলিশের কছে খবর আসে, ওই দলটি বিভিন্ন জায়গায় গ্রামের মানুষের সঙ্গে সভা করছে। জামুই থেকে তাঁরা আসেন নওয়াদায়। সেখানে আসার পরেই জামুইয়ের পুলিশ সুপারের খবরের ভিত্তিতে নওয়াদার পুলিশ তাদের জেলা সার্কিট হাউসে ‘আটক’ করা হয়। সেখানে তাঁদের দীর্ঘ জেরাও করা হয়। তাঁদের পাসপোর্ট ও ভিসার কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়। পুলিশকে ওই ফরাসি দলটি জানায়, এখানে তাঁরা ঘুরতে এসেছেন। কিন্তু পুলিশের বক্তব্য, “ট্যুরিস্ট ভিসার নিয়ম লঙ্ঘন করে তাঁদের যেখানে-সেখানে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। বহু জায়গাই পর্যটক-কেন্দ্রীক নয়। পুলিশকে না জানিয়ে তাঁরা এমন সব জায়গায় থাকছিলেন যা পর্ৎৎটকদের জন্য নির্দিষ্ট থাকার জায়গাও নয়।” এই বিষয়ে বিশদ তথ্য সংগ্রহ এবং তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তর পরে নওয়াদার পুলিশ সুপার এস এল দাস তাঁদের জানিয়ে দেন, অবিলম্বে তাঁদের বিহার ছাড়তে হবে। অন্য কোথাও নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বিহার সরকার বিদেশিদের সরাসরি দিল্লিতেই পাঠিয়েছে। দিল্লিতে তাঁদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক ও দিল্লি পুলিশই নেবে বলে এক সরকারি কর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তাঁদের বিরুদ্ধে মাওবাদী গণ সংগঠনের সঙ্গে গ্রামে গ্রামে সভা করার ব্যাপারে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে ডিআইজি-মগধ রেঞ্জ এন এইচ খান বলেন, “এরকম কোনও খবর আমরা জানি না। তবে তাঁরা ভিসার নিয়ম মানেননি। এই ভাবে তাঁদের যত্রতত্র ঘোরার অনুমতি দেওয়া যায় না। সেটাই ওঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আজ তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।” |
|
|
|
|
|