রাজ্যসভা ভোট
ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক টানাপোড়েন অব্যাহত
ঝাড়খণ্ডের আগামী রাজ্যসভায় ভোটের জন্য প্রলোভন দেখানোর অভিযোগে রাজ্য কংগ্রেসের কাছে নোটিস পাঠিয়ে জবাব চাইল নির্বাচন কমিশন। এই ব্যাপারে অভিযোগকারী জেভিএম দলের কাছেও নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন।
৩ মে অনুষ্ঠিতব্য ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভার নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীর একটি তালিকা দিয়ে কংগ্রেসের কাছে সম্মিলিত বিরোধী প্রার্থী দাঁড় করানোর প্রস্তাব দিয়েছিল জেভিএম। কংগ্রেস সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। উল্টে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ বালমুচুকে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে। এরপরেই জেভিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ যাদব রাজ্যসভার ভোটের জন্য জেভিএমকে প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ তোলেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, ভোটের জন্য কংগ্রেসের তরফে জেভিএম-এর কাছে ‘অফার’ পাঠানো হয়েছে। জেভিএম নেতার অভিযোগ, ওই ‘অফার’-এ জানানো হয়েছে, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার বিনিময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কয়েকটি নিগমের চেয়্যারম্যানের পদ জেভিএমকে দেওয়া হবে।
সঞ্জীব কুমার (বাঁ দিকে) ও প্রদীপ বালমুচু। সোমবার পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি।
জেভিএম নেতা প্রদীপ যাদবের তোলা ওই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন, মনগড়া’ বলে গোড়াতেই খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেভিএমের অভিযোগ নাকচ করে ঝাড়খণ্ডের ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদও জানান, রাজ্যসভার ভোট নিয়ে জেভিএম নেতা প্রদীপ যাদবের সঙ্গে তাঁর কোনও কথাই হয়নি।
নির্বাচন কমিশনের নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করে আজ রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র শৈলেশ সিংহ বলেন, “জেভিএম আমাদের দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য দলের কোনও নেতার সঙ্গেই জেভিএমের কোনও কথা হয়নি। কংগ্রেস নেতাদের মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করলে তার প্রমাণ মিলবে। জেভিএম নেতৃত্বকেই তো তাদের অভিযাগের প্রমাণ দিতে হবে। কমিশনের নোটিসের জবাবে এ ছাড়া আমাদের বলারও কিছু নেই।”
নির্বাচন কমিশনের নোটিসের ব্যপারে আজ জেভিএম নেতা প্রদীপ যাদব বলেন, “কমিশনের নোটিস আমার কাছে আসেনি। এসেছে দলের কাছে। আমাদের পার্টিই কমিশনের নোটিসের জবাব দেবে।” এ দিকে আজ মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ বালমুচু ও জেএমএম প্রার্থী সঞ্জীব কুমার তাঁদের মনোনয়ন পত্র পেশ করেছেন। এই ভোটে রাজ্যসভার দু’টি আসনের জন্য মোট তিন জন প্রার্থী রইলেন। তৃতীয় জন হলেন বিজেপি-র সুরেন্দ্র সিংহ অহ্লুওয়ালিয়া। উল্লেখ্য, ৮১ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপি ও জেএমএমের বিধায়ক সংখ্যা সমান, ১৮। কংগ্রেসের ১৪। জেভিএমের রয়েছে ১১ জন বিধায়ক। এ ছাড়া আরজেডি-৫, আজসু-৫, জেডিইউ-২ ও বাকি ৮ বিধায়ক বিভিন্ন ছোট দলের। এমনিতে এক একজন প্রার্থীর প্রয়োজন প্রথম পছন্দের ২৭টি ভোট। তবে এ ক্ষেত্রে ২৭ টি প্রথম পছন্দ না পেলেও প্রথম দু’টি আসনে তিনজন প্রার্থীর প্রথম দু’জনই বিজয়ী হবেন। তবে ইতিমধ্যে বাবুলাল মারান্ডির জেভিএম জানিয়েছে, বিধায়ক ‘কেনাবেচার’ মতো কোনও ঘটনায় তারা জড়িত থাকতে চান না। সেই কারণেই তারা নিজেদের কোনও প্রার্থী যেমন দেয়নি, তেমনই দলের তরফে হুইপ জারি করে দলীয় বিধায়কদের ভোট দানে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.