|
|
|
|
বাড়তে পারে মোবাইলের খরচ |
টু-জি স্পেকট্রাম নিলামে চড়া দরের প্রস্তাব ট্রাইয়ের |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
টু-জি স্পেকট্রাম নিলামে চড়া ন্যূনতম মূল্য বেঁধে দেওয়ার সুপারিশ করল টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাই। প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজার জমানায় যে-দরে ওই স্পেকট্রাম বণ্টন হয়েছিল, এ দিন ট্রাইয়ের প্রস্তাবিত দাম তার প্রায় ১০ গুণ। শুধু তা-ই নয়। ২০১০-এ যে রেকর্ড দর থ্রি-জি স্পেকট্রামের নিলাম থেকে উঠে এসেছিল, তাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে টেলিকম নিয়ন্ত্রকের সুপারিশ করা দাম।
প্রত্যাশিত ভাবেই ট্রাইয়ের এই ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলি। ভোডাফোনের অভিযোগ, এমন আকাশছোঁয়া দামে স্পেকট্রাম কিনতে হলে ক্ষতি হবে সংশ্লিষ্ট শিল্পের। সংস্থাগুলির একাংশের মতে, দাম এ ভাবে বাড়লে, বাধ্য হয়েই সেই খরচ ক্রেতার ঘাড়ে চাপাতে হবে তাদের। ফলে বাড়বে মোবাইলে কথা বলার খরচ। যার জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাহত হবে টেলি-যোগাযোগের প্রসার।
সোমবার নিজেদের সুপারিশে ১,৮০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডের স্পেকট্রামের ন্যূনতম দর মেগাহার্ৎজ পিছু ৩,৬২২.১৮ কোটি টাকায় বেঁধে দেওয়ায় সুপারিশ করেছে ট্রাই। সে ক্ষেত্রে দিল্লি ও মুম্বই সার্কেলে ওই স্পেকট্রাম হাতে নিতে অন্তত গুণতে হবে যথাক্রমে ৭১৭.২৬ এবং ৭০২.১৪ কোটি টাকা। সারা দেশে পরিষেবা দিলে খরচ করতে হবে ১৮ হাজার কোটি। তা ছাড়া, ৭০০ মেগাহার্ৎজ ব্যান্ডে ইউনিটে ন্যূনতম দর ১৪,৪৮৮.৭২ কোটি। ৮০০ ও ৯০০-র জন্য তা ৭,২৪৪.৩৬ কোটি।
এ ছাড়া, এ দিন ট্রাইয়ের উল্লেখযোগ্য সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে এমটিএনএলের হাতে থাকা অতিরিক্ত স্পেকট্রাম ফিরিয়ে নেওয়া, ১.২৫ মেগাহার্ৎজের ব্লকে স্পেকট্রাম বণ্টন করা, নিলামের বৈধতা ২০ বছর বজায় রাখা, যে-সব সংস্থার হাতে ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট সীমার বেশি স্পেকট্রাম রয়েছে, তাদের নিলামের বাইরে রাখা ইত্যাদি। |
|
|
|
|
|