টুকরো খবর
ভাঙচুরের অভিযোগ
আইপিএলের ম্যাচ চলাকালীন কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ করল সিপিএম। মাথাভাঙার বড় কাওয়ারডেরা এলাকায় বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে। সিপিএমের অভিযোগ, ঘটনায় তৃণমূলের সমর্থকরা জড়িত। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, ক্রিকেট ম্যাচের বেটিং ঘিরে গোলমালের পরে সিপিএমের সমর্থকদের একটি গোষ্ঠীই ভাঙচুর চালায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে চেন্নাই ও পুণে দলের খেলা চলার সময় উত্তেজিত জনতা ওই পার্টি অফিসে ঢুকে পড়ে খেলা টিভি বন্ধ করতে বলে। তা নিয়ে উপস্থিত সিপিএম কর্মীরা আপত্তি করলে বাদানুবাদ শুরু হয়। তারপরেই ওই অফিসের চেয়ার, টেবিল-সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। সিপিএমের দুই সমর্থক জখম হন। একজনকে মাথাভাঙা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিপিএমের পচাগড় লোকাল কমিটির সম্পাদক তাপস বর্মন বলেন, “আমাদের অফিসে সমর্থকদের ভিড় দেখে হতাশা থেকে তৃণমূল হামলা চালায়। প্রতিবাদে বাসিন্দারা রাতেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের অভিযোগ করা হয়েছে।” তৃণমূলের পচাগড় অঞ্চল সভাপতি উদয় সরকারের অবশ্য দাবি, “বেটিং চলছিল। তা নিয়ে ওদের দু’পক্ষের গোলমাল হয়। দলের সমর্থকদের নামে মিথ্যা মামলা করার প্রতিবাদে শুক্রবার আমরা মিছিল করেছি।” মাথাভাঙার তৃণমূল বিধায়ক বিনয় বর্মন বলেন, “খেলার নামে জুয়ার কারবার দেখে বাসিন্দারা প্রতিবাদ করেন। তা থেকেই ঝামেলা হয়। ঘটনা আড়াল করতে পরে সিপিএম নিজেরাই ভাঙচুর করেছে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত হচ্ছে।”

আট মাসেও তালিকা হয়নি
গত বছর বন্যায় জেলায় ৫০ হাজারের বেশি মাটির ঘর বিধ্বস্ত হয়। ক্ষতিপূরণ পরের কথা। ঘটনার ৮ মাস পরেও প্রশাসনের কর্তারা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করতে না পারায় মালদহ জেলার বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষুব্ধ জেলার দুই সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি ও মৌসম বেনজির নূর বলেন, “ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরির ব্যাপারে জেলা প্রশাসন তৎপর হলে ক্ষতিপূরণের টাকা অনেক আগে জেলায় পৌছে যেত। জেলাশাসককে তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। কাজ না-হলে পরিস্থিতির কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে।” ছ’মাস পরেও বানভাসিদের তালিকা তৈরি না-করার অভিযোগ অস্বীকার করেননি জেলাশাসক শ্রীমতি অর্চনা। তিনি বলেন, “ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরির জন্য বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ব্লক থেকে তালিকা না-এসে পৌছনোয় জেলা থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা রাজ্যের কাছে চাইতে পারছি না। তালিকা তৈরির জন্য দ্রুত মিটিং ডাকা হবে।” জেলা সিপিএম সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “জেলা প্রশাসনের গাফিলতির জন্য ওই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।” গত বছর বন্যায় ইংরেজবাজার, রতুয়া ১ এবং ২, হরিশ্চন্দ্রপুর ২, মানিকচক, কালিয়াচক ১ ব্লকে সরকারি হিসেবে ৫০ হাজারের বেশি মাটি বাড়ি ভেঙে যায়। বানভাসিদের অভিযোগ, বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখে প্রশাসনের তরফে দ্রুত ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার ছয় মাস পরেও তাঁদের নামের তালিকা তৈরি না হওয়ায় ওই সমস্ত এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিপূরণ আদৌ মিলবে কিনা তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।

কোচবিহারে ই-ক্লাস ৪৪টি স্কুলে
চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে কোচবিহার জেলার ৪৪টি হাই স্কুলে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাস চালু করতে উদ্যোগী সর্বশিক্ষা মিশন। স্কুল পিছু চার শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। স্কুলগুলিতে কম্পিউটার, প্রজেক্টর সহ বিভিন্ন সামগ্রীও পাঠানো হয়েছে। সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা আধিকারিক আমিনুল আহসান বলেন, “ক্লাসে পাঠ্য বিষয় চোখে দেখার পাশাপাশি শুনে পড়ানো হলে ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ বাড়বে। বিষয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হবে। জেলার ৪৪টি হাই স্কুলে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাস হবে। প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে ২৬ এপ্রিল সভা হবে।” ২০১০-২০১১ আর্থিক বছরে কোচবিহার সদর মহকুমার ২২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার আওতায় আনা হয়। সেগুলি হল বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ, পেস্টারঝাড় হাই স্কুল, খোলটা হাইস্কুল, মনীন্দ্রনাথ হাই স্কুল, বাণেশ্বর গার্লস হাই স্কুল, তুফানগঞ্জের বালাকুঠি হাই স্কুল, বারকোদালি হাই স্কুল, বক্সীরহাট গার্লস হাই স্কুল, বাকলা রামকৃষ্ণ হাই স্কুল, দিনহাটার গোপালনগর হাই স্কুল, মাথাভাঙার পানিগ্রাম হাই স্কুল, মাথাভাঙা গার্লস হাই স্কুল, শিকারপুর হাই স্কুল। ২০১১-২০১২ আর্থিক বছরে ওই প্রকল্পের আওতায় আনা হয় আরও ২২টি হাই স্কুল। সেগুলি হল মাথাভাঙার পাটকামারি রাজেন্দ্রনাথ হাই স্কুল, উপেনচৌকি হাই স্কুল, জামালদহ হাই স্কুল, দলনাথ হাই স্কুল, কোচবিহার সদরের টাউন হাই স্কুল, রাশিডাঙা এস এম হাই স্কুল, তুফানগঞ্জের ইলাদেবী গার্লস হাই স্কুল, দিনহাটার নিগমানন্দ শিক্ষা নিকেতন। সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ষষ্ঠ অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ওই ব্যবস্থা চালু করা হবে।

অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অভিযুক্ত ছাত্রনেতা
কলেজের পরীক্ষা চলাকালীন সংসদ দফতর খোলা নিয়ে আপত্তি জানানোয় অধ্যক্ষ এবং এক শিক্ষকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার তুফানগঞ্জ কলেজে ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে আজ, শনিবার বৈঠক ডেকেছে কলেজ পরিচালন সমিতি। তবে পুলিশ, প্রশাসন কোনও অভিযোগ জানাননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এদিন কলেজের বিএ স্নাতকস্তরের পরীক্ষা ছিল। কলেজ সূত্রের খবর, এদিন বিকেলে কলেজের ছাত্র সংসদের সহকারি সাধারণ সম্পাদক কয়েকজন অনুগামী নিয়ে কলেজের ভিতরে ঢোকেন। এর পরেই ছাত্র সংসদের অফিস খুলে তাঁরা বসেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে সেখানে যান অধ্যক্ষ। তিনি বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানান। সংসদ দফতরও বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এই নিয়ে দুই পক্ষের বাদানুবাদ শুরু হয়। সেই সময় অধ্যক্ষের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে সেখানে যান কলেজের অপর শিক্ষক হরিগোপাল মল্লিক। তাঁর সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। পরে কলেজের নিরাপত্তা রক্ষীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। হরিগোপালবাবু বলেন, “অধ্যক্ষ নিয়ম মেনে সংসদ অফিস বন্ধ করতে বলায় এজিএস ও তার সঙ্গীরা হুমকি দেয়। এমন ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না।” কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে। আজ, শনিবার পরিচালন সমিতির বৈঠক হবে।” অভিযুক্ত এজিএস প্রসেনজিৎ চন্দের দাবি, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। সংসদ অফিস খুলিনি। মিথ্যা অজুহাতে হেনস্থা করা হয়েছে।”

বাড়িতে ঢুকে মারধর, লুঠ
কোম্পানির লোক বলে পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে এক বধূকে মারধর করে টাকা ও সোনা লুঠের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাট থানার মাহিনগর এলাকায়। আহত বধূ মাধুরি দেবীকে হাসপাতালে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, দুই মহিলা ও এক পুরুষ মিলে এলাকার ছোট ব্যবসায়ী বিকাশ চৌধুরীর বাড়িতে হানা দেয়। সে সময় বিকাশবাবু বাড়িতে ছিলেন না। মাধুরী দেবী বলেন, “চুড়িদার ও শাড়ি পড়া দুজন মহিলা এবং বছর চল্লিশের এক যুবক বাড়িতে ঢুকে জানায় তারা একটি কোম্পানি থেকে সমীক্ষার কাজে এসেছেন। তাদের বসতে দিতে যেতেই পেছন থেকে দুই মহিলা রড দিয়ে পায়ে ও কোমরে আঘাত করে। মুখে ওষুধ মেশানো কাপড় চেপে ধরলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এরপর তারা বের হওয়ার কিছু পরেই জ্ঞান ফেরে। স্বামী ও স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে আসার আগে দুর্বৃত্ত ওই তিনজন পালিয়ে যায়। তারা আলমারি ভেঙে নগদ সাড়ে তিন হাজার টাকা ও প্রায় তিন ভরি সোনার গয়না লুঠ করে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিকাশবাবু। ভারপ্রাপ্ত আইসি সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দুষ্কৃতীদের ধরতে তদন্ত শুরু হয়েছে।”

ট্রাকের ধাক্কায় বালিকার মৃত্যু
রাস্তা পার হওয়ার সময়ে ট্রাকের ধাক্কায় ৬ বছর বয়সী এক বালিকার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানার পিছলা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম রিনা সাহা। ওই এলাকাতেই তার বাড়ি। স্থানীয় একটি প্রাথমিক স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশুনা করত রিনা। এদিন ওই বালিকা প্রাইভেট টিউশন পড়ে ওই এলাকায় একটি কীর্তনের অনুষ্ঠান দেখে দাদুর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় তার দাদু চা খাওয়ার জন্য রাস্তার ধারের একটি দোকানে ঢুকলে আচমকা ওই বালিকা দৌড়ে রাস্তা পার হওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় শিলিগুড়িগামী পাথর বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই বালিকাকে পিষে দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পরে যান নিয়ন্ত্রণের কাজে পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের সঙ্গে বাসিন্দাদের একাংশের বচসাও বেঁধে যায়। পরে দোমহনা এলাকায় পুলিশ এসে চালক-সহ ট্রাকটিকে আটক করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

খেতে বসে মৃত্যু
মিড ডে মিল খেতে বসে মৃত্যু হল এক খুদে পড়ুয়ার। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি ব্লকের বলপাড়া প্রাথমিক স্কুলে। পুলিশ জানায়, তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া মৃত ছাত্রীর নাম প্রত্যুষা মন্ডল (৭)। বাড়ি স্থানীয় পাঞ্জুল অঞ্চলের গোবিন্দপুরে। প্রধান শিক্ষক উত্তম মাহাতো বলেন, “ছাত্রীটি হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিল। মিড ডে মিল খাওয়ার সময় সে ঢলে পড়ে। শিক্ষকেরা গাড়ি করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ছাত্রীটি মারা যায়। তার বাবা তন্ময়বাবু বলেন, “কলকাতার মুকুন্দপুরে মেয়ের চিকিৎসা হচ্ছিল। ডাক্তারবাবু বলেছিলেন ঠিক হয়ে যাবে। সব শেষ হয়ে গেল। এলাকার প্রধান তথা গ্রাম শিক্ষা কমিটির সচিব সাহানারা বিবি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটি হার্টের অসুখে ভুগছিল। সাহায্য তুলে একবার কলকাতায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল।”

পঞ্চায়েতে অনাস্থা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জোট পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে তৃণমূল সদস্যরা অনাস্থা জানালেন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। গত নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট করে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে। ১৪ সদস্যের পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৬টি আসন। তৃণমূলের ৫টি। দুটি আসন সিপিএমের দখলে। একটি বিজেপির। পঞ্চায়েত প্রধান হন কংগ্রেসের পূর্ণিমা রায়। এ দিন তৃণমূলের সদস্যরা প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিডিওর কাছে অনাস্থার কথা জানান। যদিও প্রধান পূর্ণিমা দেবী বলেন, “ওই ধরণের কোনও খবর আমার জানা নেই।” বিডিও টিটি শেরপা বলেন, “কয়েকজন সদস্য চিঠি দিয়েছেন। সেটা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অনিয়মের অভিযোগ
ত্রাণ বিলির কাজে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিল সিপিএমের উত্তর দিনাজপুর জেলা কমিটি। শুক্রবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের জেলা সম্পাদক বীরেশ্বর লাহিড়ী বলেন, “৬ এপ্রিল চোপড়া ব্লকে ঝড় ও শিলাবৃষ্টির জেরে প্রায় ১০ হাজার কাঁচাবাড়ি ভেঙে গিয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। চা ও আনারস বাগানের ক্ষতি হয়েছে। দুই সপ্তাহ পরেও প্রশাসনের তরফে ত্রাণ বিলি হয়নি।

সড়ক অবরোধ
অধিকাংশ সময়েই বিদ্যুৎ থাকে না। অনেক সময় এতই লো ভোল্টেজ যে স্যালো চলে না। গত একমাস ধরে এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন বোরো চাষিরা। আবেদন নিবেদনেও ফল না মেলায় প্রায় ৫ ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। মালদহের চাঁচলের গোবিন্দপাড়ায় শুক্রবার ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ হয়। অবরোধ চলাকালীন বিক্ষোভ দেখান চাঁচল-২ ব্লকে জালালপুর, চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাষিরা।

পথ অবরোধ
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছোট গাড়ি যুবককে ধাক্কা দিলে ভাঙচুর ও অবরোধের জেরে শুক্রবার দুপুরে তুমুল উত্তেজনা দেখা দেয় দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ঠ্যাঙাপাড়ায়। জখম পিন্টু সরকারকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাস্তা পার হওয়ার সময় বুনিয়াদপুরের দিক থেকে গড়িটি গঙ্গারামপুরের দিকে আসার পথে যুবককে ধাক্কা দেয়। জনতা গাড়িটি ভাঙচুর করে প্রায় দু’ঘণ্টা রাজ্য সড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

রাজ্য বাউল উৎসব
উত্তর দিনাজপুর লোকসংস্কৃতি ও রাজ্য বাউল উৎসব কমিটির উদ্যোগে সোম থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রায়গঞ্জ ব্লকের সুভাষগঞ্জে লালন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল ২৪তম জেলা লোকসংস্কৃতি ও রাজ্য বাউল উৎসব। উৎসব কমিটির প্রধান উপদেষ্টা তথা লোকশিল্পী তরণী সেন মোহান্ত জানান, বিভিন্ন জেলা থেকে নানা সম্প্রদায়ের ১০০ শিল্পী বাউল, ফকিরি, ভাওয়াইয়া, খেন গান, সত্যপীরের গান, কবিগান, জারি গান ও লোকনৃত্য পরিবেশন করেন।

মৃত শ্রমিক
ইটভাটার নির্মীয়মাণ চুল্লি থেকে পড়ে গিয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থানার পুঁটিমারি এলাকায়। জখম হয়েছেন আরও এক শ্রমিক। মৃত মহম্মদ সালমানের (২৮) বাড়ি উত্তরাখন্ড এলাকায়। জখমকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.