বিডিও-সহ সরকারি কর্মীদের হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতি, ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে কর্মবিরতি পালন করা হল। শুক্রবার ওই কর্মবিরতির জেরে এলাকায় পঞ্চায়েত স্তরের সমস্ত প্রশাসনিক কাজকর্ম বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার এলাকার কংগ্রেস উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিডিও’র দফতরে স্মারকলিপি দেন তৃণমূলের নেতা কর্মীরা। সেই সময়ে বিডিও’র দফতরে ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগ ওঠে ওই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ব্যাপারে বিডিও সজল তামাং নিজেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অভিযুক্তদের কাউকেই পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিডিও অফিসের কর্মীরা এদিন বিকালে বিডিওকে ঘেরাও করে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেছেন, “মামলা হয়েছে। তদন্ত চলছে। সব খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” চাঁচলের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক বলেছেন, “প্রশাসনের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে। বাকি কাজ পুলিশের।” এদিকে গোটা ঘটনা ‘সাজানো’ বলে দাবি করে সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। স্মারকলিপি দিতে যাওয়া কর্মীদের টেনে হিঁচড়ে দফতর থেকে জয়েন্ট বিডিও বার করে দেন বলে অভিযোগ তুলে এদিন বিকালে মিছিল করে পাল্টা বিক্ষোভও দেখান তৃণমূল কর্মীরা। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিকাশ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “গোটা ঘটনাই সাজানো। আমাদের কেউ ভাঙচুর বা কাউকে হেনস্থা করেনি। বরং জয়েন্ট বিডিও কয়েকজন কর্মীকে টেনে হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে দেন। আমরাও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব।” জয়েন্ট বিডিও সুজয় ধর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কেন কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে যাব। কাউকে বের করতেই বা যাব কেন?” হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি বিমানবিহারী বসাক বলেন, “অভিযুক্তদের ধরা না হলে আরও বড় আন্দোলন হবে।” ব্লক অফিসের কয়েকজন কর্মীর অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের একাংশ লাগাতার ভাবে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এবার যা ঘটল তাতে তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। |