রায়গঞ্জ পুরসভা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের স্বনির্ভর করতে উদ্যোগী হয়েছে। স্বর্ণজয়ন্তী শহুরী রোজগার যোজনা প্রকল্পের অধীনে শহরের ২৫টি ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু মহিলাদের নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজে নেমেছে পুরসভা। ইতিমধ্যে ৭টি সংখ্যালঘু মহিলাদের গোষ্ঠী তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই ধরণের গোষ্ঠী বেশি সংখ্যক গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে পুরসভা। এই লক্ষ্যে ওয়ার্ডগুলিতে শিবিরের কাজ শুরু করেছেন পুর আধিকারিকেরা। পুরসভার আধিকারিক শ্যামল সেনগুপ্ত বলেন, “সংখ্যালঘু মহিলাদের স্বনির্ভর করতে পুরসভার তরফে সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে।”
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০০১ সালে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বিপিএল তালিকাভুক্ত মহিলাদের নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির কাজ শুরু হয়। বর্তমানে শহরে ৪৩৭টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। প্রতিটি গোষ্ঠীতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মহিলা থাকলেও আলাদা করে সংখ্যালঘু মহিলাদের নিয়ে গোষ্ঠী তৈরি করা হয়নি। এবার বিপিএল তালিকাভুক্ত ৫-১০ জন সংখ্যালঘু মহিলাকে নিয়ে প্রতিটি গোষ্ঠী তৈরি করা হচ্ছে। প্রশিক্ষক নিয়োগ করে তাঁদের পাঁপড়, হলুদ, দুধের তৈরি নানা খাবার, পুতুল, খেলনা, ব্যাগ ও পোশাক তৈরির কাজ শেখানো হচ্ছে। এছাড়া রঙিন মাছের চাষ, গাড়ি চালানো ও বিউটিশিয়ান কোর্সের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের তৈরি জিনিসপত্রের বিপণনের ব্যবস্থা করবে পুরসভা। এই জন্য একটি বিপনন কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, গোষ্ঠীগুলি যাতে বিভিন্ন সরকারি মেলায় জিনিসপত্র বিক্রি করার সুযোগ পান, সেই বিষয়েও পুরসভা উদ্যোগী হবে। এখন বিভিন্ন গোষ্ঠীর মহিলা সরাসরি বিভিন্ন বাজারে এবং মেলায় তাঁদের তৈরি জিনিস বিক্রি করছেন। পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পবিত্র চন্দ বলেন, “আমার ওয়ার্ড থেকেই সংখ্যালঘু মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই সমস্ত ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু মহিলা ওই ধরণের গোষ্ঠী তৈরির কাজ শেষ করা হবে। তাঁদের জন্য ঋণের ব্যবস্থাও করা হবে।” ওই ওয়ার্ডের গৃহবধূ রিঙ্কু খাতুন, টুলপাই খাতুন ও পরোয়ানা বেগম জানান, পুরসভা এই উদ্যোগে আমরা খুশি। পুরনো স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরাও আমাদের নানা পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করছেন। |