|
|
|
|
সিপিএম নেতার নামে অভিযোগ |
জমি জবরদখলে তদন্তের নির্দেশ |
সিদ্দিক হোসেন • ফাঁসিদেওয়া |
সিপিএমের কৃষক সভার এক নেতার বিরুদ্ধে একাধিক জমি দখল করে নানা ধরনের বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার লিউসিপাখুরি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রামবাসীদের নাম করে লিখিত অভিযোগ পৌঁছেছে দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের কাছে। জেলাশাসক শিলিগুড়ির এসডিও বৈভব শ্রীবাস্তবকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এসডিও-র দফতর থেকে গোটা ঘটনা নিয়ে সরেজমিনে তদন্ত শুরু হয়েছে। দার্জিলিঙের জেলাশাসক বলেন, “ফাঁসিদেওয়া এলাকার শতাধিক বাসিন্দার নাম সংবলিত অভিযোগপত্র মিলেছে। অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। সঙ্গে সঙ্গেই এসডিও-কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ জমা পড়েছে তাঁর নাম সন্তোষ রায়। তিনি এলাকারই একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তিনি কৃষক সভার নেতা হিসেবেও পুলিশ-প্রশাসন মহলে পরিচিত। এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেরই অভিযোগ, গ্রামবাসীদের চলাচলের রাস্তা দখল করে বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। অভিযোগপত্রে এটাও লেখা রয়েছে, সন্তোষবাবুর নেতৃত্বে স্কুলের জমিতে পাকা রাস্তা তৈরি করে তাঁর বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাতায়াতের রাস্তা দখল করে, গাছ কেটে পাঠাগার বানানোর অভিযোগও রয়েছে। এমনকী, ওই পাঠাগারের একাংশকে এখন ধানের গুদাম হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। বাসিন্দারা জানান, বাম জমানায় একাধিকবার নানা মহলে জমি দখলের অভিযোগপত্র দিলেও তদন্ত পর্যন্ত হয়নি। রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পরে গ্রামবাসীদের একাংশ ফের জোট বাঁধেন। তার পরেই সন্তোষবাবুর বিরুদ্ধে নানা জায়গায় জমি দখলের অভিযোগ প্রশাসনকে জানানো হয়। সন্তোষবাবু অবশ্য বলেছেন, “আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। জমি দখলের সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।” অভিযোগকারীদের তরফে সাজিদুদ্দিন, বালু সিংহ সহ অনেক বাসিন্দাও মনে করেন, তদন্তে পক্ষপাতিত্ব না-হলে সত্যি ঘটনা সামনে আসবে। অভিযোগকারীদের সন্দেহ, পুলিশ-প্রশাসনের একাংশ এখনও গোপনে সিপিএম নেতাকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীদের একাংশের ভূমিকা নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, অতীতে জমি দখলের অভিযোগ করতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি বলে অনেকেরই ক্ষোভ রয়েছে। এমতাবস্থায় দার্জিলিঙের জেলাশাসক বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় অভিযোগকারীরা কিছুটা আশ্বস্ত। প্রশাসনের এক অফিসার জানান, গ্রামবাসীদের লিখিত অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, ওই সিপিএম নেতা তাঁর বাড়িটিও স্কুলের জমিতে তৈরি করেছেন। তদন্তকারী অফিসার সবই খতিয়ে দেখছেন বলে প্রশাসনের ওই কর্তা জানান। |
|
|
|
|
|