রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতকোত্তরে নিজেদের পড়ুয়াদের জন্য আসন সংরক্ষণ ব্যবস্থার লোপ চায় উচ্চশিক্ষা সংসদ। সংসদের মতে, অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতকোত্তরে ছাত্রভর্তি হওয়া উচিত।
স্নাতকোত্তরে ৯৫ শতাংশ আসনে নিজেদের ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করে রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়। অন্য সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার জন্য থাকে ৫ শতাংশ। উচ্চশিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুগত মারজিত মনে করেন, এই ব্যবস্থার মধ্যে বৈষম্যের বীজ রয়েছে। কারণ, অনেক যোগ্য ছাত্রছাত্রীই তাঁদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হলে সকলেই যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা পাবেন। উচ্চশিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে শীঘ্রই শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এই সুপারিশ পাঠানো হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যে হেতু স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, তাই এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারাই নেবে।
এ দিন উচ্চ শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান তাঁর পরামর্শদাতা কমিটির সঙ্গে এই বিষয়ে একটি বৈঠক করেন। সুগতবাবু জানান, “এটি কোনও সিদ্ধান্ত নয়, সুপারিশ বা পরামর্শ বলা যায়। আমরা এই খসড়া পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠাব। মন্ত্রী আপত্তি না করলে ওই সুপারিশ বিবেচনার জন্য রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠানো হবে।”
সব ক’টি বিশ্ববিদ্যালয় এক মত হলে স্নাতকোত্তরে ভর্তির জন্য অভিন্ন প্রবেশিকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে সুগতবাবু জানান। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা পছন্দ করবে, না আলাদা আলাদা ভর্তির পরীক্ষা নেবে, তা নির্ভর করবে তাদের উপরেই।” এই ধরনের প্রবেশিকা-ভিত্তিক ভর্তির ব্যবস্থা অনেক দিন আগে থেকেই চালু করেছে কর্নাটক, কেরল এবং মহারাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। |