যান চলাচলে গতি আনতে উদ্যোগী মমতা
হরের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খল করতে এবং যান চলাচলের গতি বাড়াতে বার উদ্যোগী হলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতা হাওড়ার যানজট সমস্যার দ্রুত সমাধান খুঁজতে বৈঠকে বসেন তিনি। যান চলাচলের হাল জানতে কলকাতার ৫০টি মোড়ে নজরদারি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ছাড়াও সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, যানজট কমিয়ে যানবাহনের গতি বাড়াতে এক দিকে যেমন হকার বা পথচারীদের রাস্তায় নেমে আসা আটকানো হবে, তেমনই রাস্তার ধারে গাড়ির পার্কিংয়েও রাশ টানা হবে।
কলকাতা হাওড়াকে যানজটমুক্ত করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে ছ’সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই সময়সীমার আর দু’সপ্তাহ বাকি রয়েছে। তার আগে বিষয়টি পর্যালোচনা করতেই দিন কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে মহাকরণে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র, পুর নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
বৈঠকে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি আপাতত যানজটের চাপ থেকে শহরবাসীকে কিছুটা রেহাই দিতেই অবিলম্বে শহরের ৫০টি মোড়ে ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেন মমতা। সেগুলির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির সংযোগস্থলে যান চলাচলের উপরে নজরদারি করা যাবে। কোন কোন যানবাহন আইন ভাঙছে, তা - ওই ক্যামেরায় ধরা পড়বে। এখন শহরের মাত্র সাতটি মোড়ে ধরনের ক্যামেরা আছে। দিন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “দুর্ঘটনা কমাতে বেপরোয়া গাড়ি রুখতে এই নজরদারি সাহায্য করবে। দু’মাসে ৫০টি জায়গায় ওই ক্যামেরা চালু হয়ে যাবে।”
পিচরাস্তার উপরে হকার এবং পথচারীদের উপস্থিতি বন্ধ করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে দিনের বৈঠকে। অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ফুটপাথ কার্যত হকারদের দখলে চলে যাওয়ায় পথচারীরা এখন বাধ্য হয়েই বড় রাস্তা ধরে হাঁটাচলা করেন। এর পাশাপাশি, রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটব্রিজের ব্যবহার বাড়ানোর উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই ফুটব্রিজ থাকলেও সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হয় বলে অনেকেই তা ব্যবহার করেন না। সে কারণে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত ফুটব্রিজে এসক্যালেটর বসানোর নির্দেশও দিয়েছেন। মহাকরণ সূত্রে খবর, যে সব সংস্থা বিজ্ঞাপনের জন্য ফুটব্রিজগুলিকে ব্যবহার করে, তাদেরই ওই এসক্যালেটর তৈরির খরচ দিতে বলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যারা ওই খরচ বহন করবে না, সেই সংস্থাকে আর ফুটব্রিজে বিজ্ঞাপন দিতে দেবে না সরকার।
অন্য দিকে, যানজট কমাতে শহর জুড়ে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা হিসেবে রাস্তা জুড়ে গাড়ির পার্কিং যতটা সম্ভব কমানোর কথা ভাবছে সরকার। সে জন্য গাড়ি রাখার বহুতল পার্কোম্যাট গড়তে দ্রুত মাটির নীচে এবং উপরে ফাঁকা জায়গা খুঁজে বার করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারের বিভিন্ন দফতরের কাছেও এর জন্য জমি আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এক সরকারি মুখপাত্র বলেন, “স্ট্র্যান্ড রোডে পোর্ট ট্রাস্টের অনেক জমি পড়ে রয়েছে। ওই জমিতে পার্কোম্যাট গড়া যায় কি না, তা নিয়ে পোর্ট ট্রাস্টের সঙ্গে কথা বলা হবে।” এর বাইরেও কোথায় কোথায় পার্কোম্যাট করা যায়, তা নিয়ে কেএমডিএ এবং কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ যৌথ সমীক্ষা করবে। পাশাপাশি, দীর্ঘমেয়াদি ভাবে যানজটের সমস্যা মেটাতে বাইপাস উড়ালপুলের সংখ্যা কোথায় কোথায় বাড়ানো যায়, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৈঠকে। শহরে ট্রাক ঢোকার উপরে যে সব বিধিনিষেধ আছে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.