নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ও কটক |
দলের প্রয়োজনে ওপেন করছেন বটে, কিন্তু দরকারে কেকেআর ব্যাটিং অর্ডারে নেমে আসা নিয়ে দু’বার ভাববেন না। কটকে দলবল নিয়ে পা রাখার আগে এমনটাই বলে রাখলেন নাইট অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। “দরকার পড়লে আবার তিন নম্বরে নেমে আসব। প্রথম দু’টো ম্যাচে আমি কেকেআরের হয়ে ওপেন করিনি। নেমেছি তিনে। কিন্তু পরে যখন মনে হয়েছে, নিজেকে ওপেনিংয়ে তুলে এনেছি। প্রয়োজনে আবার তিনে ফিরে আসব। কেকেআরে যেমন কারও জায়গা নির্দিষ্ট নয়। দরকার মতো টিম উল্টেপাল্টে নেওয়া হয়। ব্যাটিং অর্ডারও তেমন। নির্দিষ্ট কোনও জায়গা বাঁধা নেই কারও জন্য। কারণ আমার কাছে দলের জয়ই আসল,” দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে এসে বললেন গম্ভীর। দিল্লি থেকে শুক্রবারই দলবল সমেত উড়ে গিয়েছেন কটক। আটচল্লিশ ঘণ্টা পর এমন একটা দলের বিরুদ্ধে নামতে হবে, যারা কিনা চলতি আইপিএলে এখনও কোনও পয়েন্ট পায়নি। ডেকান চার্জার্স।
আইপিএল ফাইভে চারটে ম্যাচ খেলে চারটেতেই হেরেছে সঙ্গাকরা বাহিনী। কখনও ডুবিয়েছে ডেল স্টেইনের শেষ ওভার। কখনও ডেকানকে পিষে দিয়েছে পিটারসেনের সেঞ্চুরি। তবু কটক থেকে টুর্নামেন্টে ফেরার আশায় ডেকান। টিম সিইও বেঙ্কটরাম রেড্ডি বলছেন, “কটক আমাদের কাছে লাকি হতে পারে।” কেন? তুলে আনা হচ্ছে ২০১০-এর উদাহরণ। কটকে যে বার জিতেছিল ডেকান। এ বার যেখানে দু’টো ম্যাচ। চমকেও খামতি নেই। এই দুটো ম্যাচের জন্য টিমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও ঠিক করে ফেলা হয়েছে। কে তিনি? ওড়িশার নামী অভিনেত্রী অর্চিতা।
ডেকান অভিনেত্রী এনে চমক দেবে, আর নাইটরা হাঁ করে বসে দেখবে এমন হয় নাকি? তা-ও বিশেষ করে টিম মালিকের নাম যখন শাহরুখ খান। ঠাঁটবাট নাইট শিবিরেও আছে। আর সেটা কিং খানের দৌলতেই। চণ্ডীগড়ে প্রীতির টিমকে উড়িয়ে এক বোতল স্কচের অর্ডার দিয়েছিলেন শাহরুখ। স্কটল্যান্ড থেকে আনানো। দাম বেশি না। মাত্র চোদ্দো লক্ষ টাকা! একটা ছোট পেগের দাম? মাত্র চল্লিশ হাজার! কিংস ইলেভেনকে হারানোর পর এই প্রথম পার্টি হল কেকেআরে। আর ‘ডন’ টিমের ‘কিড’-দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যত তোমরা এ ভাবে ম্যাচ জিতবে, তত এ রকম পার্টি হবে। তত বেশি উপহার দেব তোমাদের। আইপিএল লিগ টেবিলে টিম এখন থার্ড বয়, শাহরুখও ফিরছেন স্বমহিমায়। চূড়ান্ত আশাবাদ গম্ভীরের গলাতেও। চরম ব্যর্থ ইউসুফ পাঠানের পাশেও দাঁড়াচ্ছেন অধিনায়ক। “ও ছ’ম্যাচে রান পায়নি ঠিকই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, বাকি দশটা ম্যাচেও ও রান পাবে না। একটা ম্যাচে রান পেলেই পুরোনো ইউসুফকে দেখবেন। ”
ডেকানের ডেরায় ঢুকে এ দিন আর প্র্যাক্টিসের বালাই রাখেনি নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট। খবর যা, রবিবারের ম্যাচে খুব বেশি বদল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ‘উইনিং কম্বিনেশন’ কে আর ভাঙতে চায়? ইডেনের মতো নয়, ১৭০ থেকে ১৮০ রানের প্রতিশ্রুতি থাকছে বরাবাটি স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে। নাইট শিবিরের মনোভাব হল: যা-ই হোক, ডেকানের বিরুদ্ধে দু’টো ম্যাচ কোনও ভাবেই হারা চলবে না। কটকে রবিবার। কলকাতায় মঙ্গলবার। গম্ভীরও বলে রেখেছেন, “পিছনে ফিরে আর তাকাবে না টিম।”
স্বাভাবিক। কে না জানে, থার্ড থেকে সেকেন্ড, সেকেন্ড থেকে লিগ টেবিলের ফার্স্ট বয় হতে গেলে এই দু’টো ম্যাচ সবচেয়ে সহজ বাজি! |