দক্ষিণাঞ্চল সফরটা পুণের জন্য সুখের হল না। আমরা দুটো ম্যাচ ওখানে হেরে গেলাম। যে দুটো ম্যাচই আমি ভয়ঙ্কর ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা জিততে পারতাম। দুটো খেলাতেই টস থেকে যে রকম পরিস্থিতি চেয়েছিলাম আমাদের কাছে ঠিক সে রকম অবস্থা এসেছিল। কিন্তু প্রথমে বেঙ্গালুরুতে ফিল্ডিংয়ের সময় আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ ওভারকে ঠিক ভাবে রক্ষা করতে পারিনি। আর চেন্নাইয়ে ঠিক আবার সেটাই ঘটল আমাদের ব্যাটিংয়ের সময়। যার নিটফল, পরপর দু’ম্যাচে আমাদের হার।
কিন্তু আইপিএলের এই ফর্ম্যাটে এত পরের পর ম্যাচ খেলতে হয় যে, আগের হার নিয়ে চিন্তাভাবনার জন্য নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই। যে ব্যাপারটা পুণের এই তরুণ টিমকে চটজলদি শিখে ফেলতে হবে। টি-টোয়েন্টির আরও একটা দিক এই দলকে শিখতে হবে যে, হয়তো একটা ম্যাচ খারাপ গেল কিন্তু পরের ম্যাচের ভাল পারফরম্যান্সই তোমাকে আবার লড়াইয়ের জায়গায় ফিরিয়ে আনবে। যদিও আইপিএল ফাইভ সবে মাঝপথে, কিন্তু আমাদের পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ নিজেদের খেলাকে উঁচুতে তোলা। আমি চাই না এ রকম ক্লোজ ম্যাচগুলো আমাদের খেলার শেষে ধাক্কা মেরে যাক। সে জন্য এটাই আস্তিন গোটানোর সময়। আমাদের পরের স্টেশন দিল্লি। এবং শনিবার বীরু ও তার কোম্পানিকে ওদের ডেরায় সামলানোর আগে আমাদের নিজেদের জোর একটা ঝটকা দেওয়া দরকার।
দিল্লির কথা বলতে গেলে কেপি-র সেঞ্চুরি ইনিংসটার কথা বলতেই হবে। পুরো টপ-অর্ডার অল্প রানে ধসে যাওয়ার পরে কেপি একার হাতে দলকে জয় এনে দিয়েছে এবং জেতার টার্গেটটা মোটেই কম ছিল না। দুবাই, শ্রীলঙ্কা আর এখন ভারতে--- ইদানীং বেশ কিছু দিন ধরে কেপি উপমহাদেশে খেলে চলায় উইকেট-পরিস্থিতি সম্পর্কে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সাহায্য পেয়েছে। তবে স্লো উইকেট, বল যেখানে পড়ে নিচু হচ্ছে, কেপি-র আরও বড় পরীক্ষা হবে।
চেন্নাইকে আমরা এমন একটা রানে থামাই যেটা তাড়া করে সফল হওয়া সম্ভব ছিল। তাও কিনা ওরা কোনও উইকেট না হারিয়েই বোর্ডে একশো রান তুলে ফেলার পরেও! নেহরা খুব ভাল বল করেছে। যদিও আমি বিশ্বাস করি টিম এবং নেহরা নিজেও ওর ফাস্ট বোলিং পার্টনার দিন্দাকে ভীষণ ভাবে ‘মিস’ করেছে। টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তর পিছনে কারণ রাতের শিশির। এই অবস্থায় ব্যাটিংয়ের সময় দরকার ছিল হাতে যত বেশি সম্ভব উইকেট মজুত রেখে স্কোর বোর্ডকে সচল রেখে ফিল্ডিং দলের উপর চাপ তৈরি করা। কিন্তু সেটা ঘটেনি। |