|
|
|
|
গোঘাটে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
বাড়ির পুরুষ সদস্যদের পিছমোড়া করে বেঁধে রেখে, ঘুমন্ত ছেলেমেয়েকে খুনের হুমকি দিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতি হল গোঘাটের ভগবানপুর গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রাত ১টা নাগাদ ৮-১০ জনের দুষ্কৃতী দলটি হানা দেয় চন্দ্রশেখর মান্নার বাড়িতে। ওই ব্যবসায়ীর পাঁচিল টপকে ঘরের ছিটকিনি খুলে ফেলে দুষ্কৃতীরা। পরে কোলাপসিবল গেটের দু’টি তালা ভাঙে। শব্দ যাতে না হয়, সে জন্য তালার গায়ে গামছা জড়িয়ে নেওয়া হয়েছিল। একতলার একটি ঘরে ছিলেন চন্দ্রশেখরের বৃদ্ধ বাবা বিশ্বনাথবাবু। তাঁকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে ডাকাতেরা। বিশ্বনাথবাবু বলেন, “ওরা ঘুম থেকে তুলে দেয়। বলে, দাদু, আমরা ডাকাত।” বাড়ির গামছা দিয়েই বৃদ্ধকে বেঁধে ফেলা হয় পিছমোড়া করে। তাদের কথা মতো বিশ্বনাথবাবু ছেলেকে দোতলার ঘর থেকে ডেকে তোলেন। ঘরে ঢুকে চন্দ্রশেখরের হাতও বেঁধে ফেলে দুষ্কৃতীরা। চন্দ্রশেখরের স্ত্রীকে বলে, চাবি দিয়ে আলমারি খুলে জিনিসপত্র বের করে দিতে। ঘুমন্ত ছেলেমেয়ের দিকে পিস্তল তাক করে বলে, জিনিসপত্র বের করে না দিলে গুলি চালিয়ে দেবে। |
|
ছবি: মোহন দাস। |
দুষ্কৃতীরা সংখ্যায় ৮-১০ জন থাকলেও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল একটিই। বাকিদের হাতে ছিল তরোয়াল, রড প্রভৃতি। আধ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত ‘অপারেশন’ চালিয়ে নগদ টাকা, গয়না, মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতেরা। চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, “ঘরে ঢুকেই আলো বন্ধ করে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। জানলাও কপাট দিয়ে দেয়। টর্চ জ্বেলেই কাজ সারে।” মান্না পরিবার জানিয়েছে, গয়নাপত্রের মধ্যে কিছু নকল সোনার গয়নাও ছিল। পরিবারের এক সদস্য রিনা মান্নার হাতে সেগুলি বেছে তুলে দিয়ে দুষ্কৃতীরা বলে যায়, “এগুলো রেখে দাও। যত ক্ষণ না নতুন গয়না হচ্ছে, তত দিন কাজে লাগবে!” বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। অনেক পরে চন্দ্রশেখরবাবুর চিৎকারে প্রতিবেশী এসে জড়ো হন। শুক্রবার তদন্তে এসেছিলেন আরামবাগের এসডিপিও আকাশ মাগারিয়া। তিনি বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরা যাবে বলে আমরা আশাবাদী।” |
|
|
|
|
|