সিডি-কাণ্ডে কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের নোটিস দেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
সিঙ্ঘভির একটি সিডি নিয়ে কয়েক দিন ধরেই রাজধানীর অলিন্দে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট আপাতত বিতর্কিত এই সিডির বিষয়বস্তু প্রচার না করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, সাংসদ হিসাবে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছেন, এ বিষয়টি সিডিতে স্পষ্ট। তা ছাড়া আইন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানও তিনি। সিডিতে বন্দি ঘটনা যদিও সংসদের বাইরে হয়েছে, কিন্তু তাতেও অধিকার ভঙ্গের নোটিস দেওয়া যায়। আর বিরোধী নেতৃত্ব সেই পথে হাঁটার কথাই ভাবছেন।
আজ এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দলের মুখপাত্র রাজীবপ্রতাপ রুডি বলেন, “এটি গুরুতর বিষয়। দল অধিকার ভঙ্গের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে। কিন্তু কংগ্রেসেরই সাফাই দেওয়া উচিত, এই সিডির বিষয়ে তারা কী ভাবছে। এর আগে সামান্য কিছু টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করায় কিছু সাংসদের সদস্যপদ খোয়া গিয়েছে, সেটা ভুলে যাবেন না। এ ক্ষেত্রে তো অভিযোগ আরও গুরুতর।”
বিজেপির এক নেতার কথায়, হাইকোর্টের নির্দেশের পর অভিষেকের সিডি নিয়ে প্রকাশ্যে সংযত থাকাই বাঞ্চনীয়। কিন্তু সংসদের ভিতরে এ নিয়ে মন্তব্য করা যায়। ফলে সেখানে এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপি সরব হবে। অভিষেকের সিডি কাণ্ড প্রায় দু’সপ্তাহ আগে ঘটলেও তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের বড় অংশ কেন ‘নীরব’, তা নিয়েও সমালোচনা করেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, বিষয়টিতে বিজেপির কোনও নেতা জড়িত থাকলে সংবাদমাধ্যম তা ফলাও করে প্রচার করত। কর্নাটক বা গুজরাতে অশ্লীল-ছবি কাণ্ডে তা দেখা গিয়েছে।
বিতর্ক দানা বাধায় অভিষেক অবশ্য কংগ্রেস দফতরের সাংবাদিক বৈঠকে থাকছেন না। প্রকাশ্যেও আসছেন না। |