অসমের উন্নতির লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আজ গগৈ আজ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের হাতে ২৬ দফা স্মারকলিপি তুলে দিলেন। অন্যান্য দাবির মধ্যে রাজ্যের ৫০২ কোটি টাকা ঋণ মকুব করার জন্যও দাবি জানিয়েছেন তিনি। বরাক উপত্যকার উন্নয়নে বিশেষ প্যাকেজ দাবি করা হয়েছে। স্মারকলিপিতে রয়েছে বেশ কিছু ক্ষোভের কথাও।
২৬ দফা দাবির স্মরাকলিপিতে রয়েছে, বন্যা ও ভূমিক্ষয় নিয়ন্ত্রণে ৩৪৪ কোটি টাকার প্রকল্প, ব্রহ্মপুত্রের পলি উত্তোলন, নদী গবেষণা কেন্দ্র গড়া, মাজুলি বাঁচাতে বিশেষ প্রকল্প ও সেতু-সড়ক নির্মাণ, ব্রহ্মপুত্র বোর্ডকে কার্যকর করার আবেদন। তৈল উৎপাদন ক্ষেত্রে, রাজস্বের অর্ধেক উৎপাদনকারী রাজ্যকে দেওয়া, শোধনাগার বাঁচাতে সম্পূর্ণ কর ছাড় ও রাজ্যের ৫০২ কোটি টাকার ঋণ মকুব করার দাবিও জানিয়েছে অসম। বৃহৎ বাঁধ নিয়ে বিতর্ক ও অসন্তোষ মোকাবিলার জন্য রাজ্যের তরফে এক দিকে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ কমিটিকে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে, অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক এবং জল কমিশনকে, অবিলম্বে, সুবনসিরি, লোহিত ও সিয়াং অববাহিকায় বাঁধের প্রভাব নিয়ে বিশদ সমীক্ষা চালানোর আবেদনও রাখা হয়েছে। প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের আরও বেশি অংশ বিনামূল্যে দাবি করেছে রাজ্য।
রাজ্যের ছ’টি উপজাতি ও তফসিল পরিষদের জন্য অন্যান্য রাজ্যের সমান কেন্দ্রীয় সাহায্য চেয়েছেন গগৈ। চার লেন রাস্তার জন্য প্রয়োজনীয় ৯৬ শতাংশ জমি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার পরেও মাত্র ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন গগৈ। রাজ্যের সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য ৩ হাজার কোটি ও বরাক উপত্যকার উন্নয়নে হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া, ব্রহ্মপুত্র ভ্যালি ফার্টিলাইজার কর্পোরেশনের পুনরুজ্জীবন, গুয়াহাটিতে জাতীয় ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জের কেন্দ্র গড়া, এনরেগা প্রকল্পে দিনপ্রতি মজুরি ১৩৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ করা, ডিব্রুগড়, যোরহাট, শিলচর, লীলাবাড়ি, তেজপুর বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলকে কেবলমাত্র উত্তর-পূর্বের জন্য বরাদ্দ করা, বাংলাদেশের সঙ্গে জল পরিবহণ চুক্তি ও চা’কে জাতীয় পানীয় ঘোষণার দাবি করেছে অসম সরকার। |