আগামী ২৫ এপ্রিল জনতার আদালতে ওড়িশার অপহৃত বিধায়ক ঝিনা হিকাকার বিচার হবে বলে জানাল মাওবাদীরা।
মাওবাদীদের ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড আঞ্চলিক কমিটির অন্যতম নেত্রী অরুণা আজ বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেলের কাছে একটি অডিও টেপ পাঠান। তাতে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই হিকাকাকে জনতার আদালতে তোলা হয়েছে বলে গত কাল যে খবর প্রচারিত হয়েছিল তা ঠিক নয়। বিচার হবে ২৫ এপ্রিল। টেপে বলা হয়েছে, “সরকার জেলবন্দিদের মুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগাচ্ছে। তাই আমরাও জন আদালত বসানোর আগে খানিকটা সময় নিচ্ছি।”
একটি সূত্র জানাচ্ছে, বিধায়কের মুক্তির বিনিময়ে জেলবন্দি মাওবাদীদের ছাড়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কি বলে সে দিকে নজর রেখেই কিছুটা সময় নিচ্ছে মাওবাদীরা। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী যে জঙ্গিদের বন্দি করেছে, বিধায়কের মুক্তির জন্য তাদের ছাড়া উচিত নয় বলে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন মেজর জেনারেল গঙ্গুরদীপ বক্সী। গত কাল তারই ভিত্তিতে মাওবাদীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়ে দু-সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র ও ওড়িশা সরকারকে ব্যাখ্যা জমা দিতে বলে সর্বোচ্চ আদালত।
এরই মধ্যে আজ সকালে হঠাৎ করে রটে যায় যে হিকাকাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেই খবরও ঠিক নয় বলে জানানো হয়েছে টেপে। অরুণা জানান, “বিধায়ককে ছাড়া হয়নি। স্থানান্তরিত করা হয়েছে মাত্র। তিনি আমাদের সঙ্গেই আছেন। ভাল আছেন। জনতার আদালতই তাঁর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে তাতে কিছুটা সময় লাগবে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাওবাদী ঘনিষ্ঠ জানিয়েছেন, অপহৃত বিধায়ক আদিবাসী সম্প্রদায়ের বলেই সম্ভবত তাঁকে হয়তো মেরে ফেলবে না মাওবাদীরা। কেননা সে ক্ষেত্রে আদিবাসীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা নষ্ট হতে পারে। তবে হিকাকাকে হয়তো শাস্তি হিসেবে বিধায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলা হতে পারে।
আজ প্রকাশিত টেপেও ওড়িশা সরকারের কড়া সমালোচনা করেছে মাওবাদীরা। ২১ ও ২২ এপ্রিল রাজ্যে বন্ধের ডাক দিয়েছে তারা। অপারেশন গ্রিনহান্ট বন্ধ করা এবং ছত্তীসগঢ় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের দাবিতে ২৪ এপ্রিল থেকে প্রতিবাদ-সপ্তাহ পালন করবে তারা। |