দলের অন্দর থেকে এ বার রাস্তায়!
সিপিএমের সঙ্গে ‘সম্পর্ক না-রাখা’র কথা উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলার তৃণমূল কর্মীদের কাছে বলেছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ওই বক্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। সেই বিতর্কিত বক্তব্যকে ‘সমর্থন’ জানিয়ে এ বার রাস্তার মোড়ে ব্যানার টাঙানো হল দমদমের কয়েকটি রাস্তায়। বৃহস্পতিবার রাতে ব্যানারগুলি টাঙানো হলেও শুক্রবার তা খুলে ফেলা হয়। ‘বিতর্ক’ এড়াতেই ওই সিদ্ধান্ত। |
দমদমে দু’টি রাস্তায় তিনটি ব্যানার টাঙিয়েছিলেন দক্ষিণ দমদম টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যানারে লেখা ‘সিপিএম হার্মাদদের দলে নেওয়া যাবে না’, ‘সিপিএমের সঙ্গে চায়ের দোকানে বা অন্য কোথাও আড্ডা মারা যাবে না’, ‘সিপিএমের সঙ্গে বন্ধুত্ব বা কোনওরকম আঁতাঁত বা আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া যাবে না’। দেবাশিসবাবু বলেন, “এগুলো আমি ব্যক্তিগত অনুভূতি থেকে লিখেছি। আমরা সিপিএম এর হার্মাদদের হাতে বছরের পর বছর এত মার খেয়েছি ও অত্যাচার সহ্য করেছি যে, মনে হয়েছিল সিপিএমকে সামাজিক বয়কট প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়বাবুর বক্তব্যটি খুবই গ্রহণযোগ্য। তাই তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে আমরা ব্যানার লাগিয়েছিলাম।” কিন্তু ব্যানার লাগিয়েও তা খুলে নেওয়ার বিষয়ে দেবাশিসবাবুর ব্যাখ্যা, “আমারই
কিছু বন্ধুবান্ধব বলেন এটা খুলে নিতে। অযথা ভুল ব্যাখ্যা হতে পারে চিন্তা করে ব্যানারটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।”
তবে তাতেও জেলা রাজনীতিতে ব্যানার-বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিষয়টি সামাজিক ও পারিবারিক সম্পর্ককে ‘ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সিপিএমের জেলা নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ অমিতাভ নন্দী। তাঁর কথায়, “এটা আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বাইরে। এর ফলে রাজনৈতিক আঙিনার বাইরে গিয়েও সামাজিক বিদ্বেষ ও হিংসা তৈরি হবে।”
তবে এই বিষয়ে তিনি বা দল কিছু জানেন না বলেই জানিয়েছেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সুজিত বসু। তিনি বলেন, “দলের নির্দেশ হলে তো সার্কুলারই দেওয়া হত। এ রকম কোনও সার্কুলারের কথা আমার জানা নেই।” |