ইনফোসিস প্রকল্পের মতো আইটিসি ইনফোটেকের লগ্নিও যেন হাতছাড়া না-হয়, তা নিশ্চিত করতে মাঠে নামল রাজ্য তথ্যপ্রযুক্তি দফতর। এবং এই কারণেই সংস্থাকে তার ‘পছন্দসই’ দামে জমি দিতে রাজ্য মন্ত্রিসভার কাছে তদ্বির শুরু করেছে তারা।
সম্প্রতি রাজ্যে নতুন করে বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছে আইটিসি-র শাখা সংস্থা আইটিসি ইনফোটেক। যেখানে তারা ধাপে ধাপে ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তবে এ জন্য জমি কিনতে ইনফোসিস, উইপ্রো বা টিসিএসের থেকে বেশি টাকা দিতে রাজি নয় এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটি। হিডকো জানিয়েছে, আগের তিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা একর-প্রতি দেড় কোটি টাকা দামে জমি কিনলেও, আইটিসি ইনফোটেককে ওই দামে তা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এখন ওই ধরনের জমির বাজার দর অনেক বেশি। কিন্তু উল্টো দিকে, জমির জন্য একর-পিছু দেড় কোটির বেশি দাম দিতে নারাজ আইটিসি-র শাখা সংস্থাটি। আর এই সমস্যা মেটাতেই পুরনো দামে সংস্থাকে জমি দেওয়ার জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন চাইবে তথ্যপ্রযুক্তি দফতর।
উইপ্রো বা ইনফোসিসের মতোই পূর্বতন বাম সরকারের আমলে এ রাজ্যে ক্যাম্পাস তৈরির জন্য ২৫ একর জমি চেয়েছিল আইটিসি ইনফোটেক-ও। কিন্তু তখন ৫ একর দেওয়ার কথা বলেছিল রাজ্য। তা-ও আবার একর-পিছু ২.১৬ কোটি টাকায়। পরে অন্য দুই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা দেড় কোটি টাকা দরে জমি পেলেও শিকে ছেঁড়েনি আইটিসি ইনফোটেকের।
এই প্রেক্ষাপটে নতুন সরকারের কাছে রাজ্যে ফের ক্যাম্পাস তৈরির আগ্রহ প্রকাশ করে আইটিসি ইনফোটেক। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেঙ্গালুরু সফরের সময় আগ্রহ আরও দানা বাঁধে। এ বার অবশ্য ৪৫-৫০ একর চেয়েছিল সংস্থা। কিন্তু রাজারহাটে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ না করায় তা দেওয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করছে রাজ্য। তাই আপাতত ইনফোসিসের প্রস্তাবিত প্রকল্প এবং উইপ্রোর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের মধ্যবর্তী জমিই সংস্থাকে দিতে চায় তারা। এবং তা দিতে চায় সংস্থার পছন্দসই দামেই। তবে ওই জমি তাদের কাছে যথেষ্ট হবে কি না, তা নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি সংস্থা। |