আগামী ২৩ এপ্রিল, সোমবার দেশ জুড়ে পেট্রোল পাম্পে তেল কেনাবেচা বন্ধ রাখার আন্দোলন থেকে পশ্চিমবঙ্গকে বাদ রাখতে উদোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। আন্দোলন এড়ানোর জন্য তৎপরতা চলছিল দিল্লিতেও। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় রাতে জানানো হয়, ওই দিন পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মূলত কমিশনের হার বাড়ানো এবং যথেচ্ছ নতুন পেট্রোল পাম্পের লাইসেন্স মঞ্জুর না-করার দাবিতে সোমবার সারা দেশে পাম্পে কেনাবেচা বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছিল ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া পেট্রোলিয়াম ট্রেডার্স। সংগঠনের রাজ্য শাখা ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তুষার সেন বলেন, “আমরা, পশ্চিমবঙ্গের ডিলারেরা প্রতি কিলোলিটারে কমিশনের পরিবর্তে বিক্রয়মূল্যের একটি নির্দিষ্ট শতাংশের ভিত্তিতে কমিশন দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। এক সময় এই নিয়মই চালু ছিল। পরে তা তুলে দেওয়া হয়।”
এ দিন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জয়পাল রেড্ডির সঙ্গে ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া পেট্রোলিয়াম ট্রেডার্সের বৈঠক হয়। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অজয় বনশল রাতে জানান, কমিশন-কাঠামো ঢেলে সাজার ব্যাপারে অপূর্ব চন্দ্র কমিটির সুপারিশ মানা হবে বলে জয়পাল আশ্বাস দেওয়াতেই আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র শুক্রবার ওই আন্দোলনের ব্যাপারে ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কথা বলেন। তারা যাতে ওই দিন তেল কেনাবেচা বন্ধ না-রাখে, সেই অনুরোধ করেন মন্ত্রী। পরিবহণমন্ত্রী এ দিন ডিলার সমিতির সভাপতিকে মহাকরণে ডেকে অনুরোধ জানান, ২৩ এপ্রিল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত তাঁরা যেন কার্যকর না-করেন। তিনি জানান, কলকাতায় তেল সংস্থাগুলির ১০টি এবং জেলাগুলিতে ১৮টি ‘আউটলেট’ আছে। ওই দিন সেগুলি খোলা রাখার জন্য তেল সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করবেন তিনি। ডিলার অ্যাসোসিয়েশনও যাতে তেল সংস্থাগুলিকে একই অনুরোধ করে, সেই আবেদন জানান মন্ত্রী। কারণ পেট্রোল পাম্প এক দিন বন্ধ থাকলে রাজ্যের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।
ডিলার্স সমিতির সভাপতি তুষারবাবু রাতে জানান, তাঁদের মূল দু’টি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বলে সর্বভারতীয় সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন। তাই শুধু কলকাতা বা রাজ্যে নয়, সোমবার দেশের কোথাও পাম্প বন্ধ রাখা হচ্ছে না। |