|
|
|
|
স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
স্কুল কর্তৃপক্ষের ‘ভুলে’ বরাদ্দ অর্থ সময় মতো না পেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা। চেক পেয়ে টাকা তুলতে না পারার সমস্যা দেখা গিয়েছে, রামপুরহাট থানার জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন, রামপুরহাট হাইস্কুল ফর গার্লস ও রামপুরহাট গার্লস হাইস্কুলে। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শুক্রবার রামপুরহাট হাইস্কুল ফর গার্লস ও জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবন স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন।
ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুলে ছাত্রছাত্রীরা তাদের জন্য বরাদ্দ সরকারি সাহায্য সময় মতো পাচ্ছে না। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হবে এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্তনিগম দফতরে যোগাযোগ করা হবে।” ওই দফতরের রামপুরহাট মহকুমা ফিল্ড সুপারভাইজার মনসুর আহমেদ বলেন, “২০০৯-১০ আর্থিক বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তির টাকা মহকুমার স্কুলগুলিতে চার মাস আগে পাঠানো হয়।” তাঁর দাবি, “স্কুল কর্তৃপক্ষ সময় মতো ছাত্রছাত্রীদের হাতে চেক তুলে দিতেন, তা হলে তাদের সমস্যায় পড়তে হত না। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে তাদের চেক দেওয়া হয়েছে বলে সম্প্রতি ওই তিনটি স্কুলের বেশ কয়েক জন ছাত্রছাত্রী আমার কাছে অভিযোগ করেছে। দেরিতে পাওয়া চেকগুলি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।”
রফিক আমিন নামে এক অভিভাবক বলেন, “দু’তিন আগে স্কুল থেকে চেক পাই। জমা দিতে গিয়ে দেখি শুক্রবার চেকের মেয়াদ শেষ হয়ে হচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়েছি।” যদিও জিতেন্দ্রলাল বিদ্যাভবনের প্রধান শিক্ষক গৌরচন্দ্র ঘোষ বলেন, “চেক নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া গিয়েছিল কি না সেটা দেখে নিতে হবে।” তাঁর দাবি, “নোটিস দিয়ে স্কুলে এ ব্যাপারে পড়ুয়াদের একাধিকবার জানানো হয়েছে। অনেক সময়ে ছাত্রছাত্রীদের ডেকেও পাওয়া যায় না। চেক নিয়ে যে সমস্যা তার সংখ্যা খুবই কম। যাদের সমস্যা হয়েছে ওই চেক ফেরত নিয়ে নতুন করে চেকের জন্য পাঠানো হবে।” অন্য দিকে, রামপুরহাট হাইস্কুল ফর গার্লস কর্তৃপক্ষ, এক্ষেত্রে তাঁদের কিছু ত্রুটি হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁদেরও দাবি, চেক আসার পরে পড়ুয়াদের একাধিকবার জানানো হলেও কেউ গুরুত্ব না নিয়ে নির্দিষ্ট সময় শেষে ওই চেক নিয়ে গিয়েছে। যার ফলে এই সমস্যা। |
|
|
|
|
|