টুকরো খবর
তারাতলার কলেজে র‌্যাগিং, অসুস্থ ছাত্র
আগেও বড়দের হাতে নানা ভাবে নাকাল হতে হয়েছিল নবাগত ছাত্রটিকে। তারাতলার মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রথম বর্ষের সেই ছাত্রকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে তৃতীয় বর্ষের কয়েক জন ছাত্রের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রটি এখন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ছাত্রের বাবার অভিযোগ, বুধবার ভোর ৪টে নাগাদ তৃতীয় বর্ষের কয়েক জন ছাত্র তাঁর ছেলেকে ঘুম থেকে তুলে মদ খেতে বলে। কিন্তু ওই ছাত্র তা খেতে চাননি। এর পরে তাঁরা ওই ছাত্রকে ৫০০ বার ‘পুশ-আপ’ দিতে বলে। ওই ছাত্র তা দিতে না-পারায় তৃতীয় বর্ষের ছাত্রেরা মারধর শুরু করে। ছেলে তাঁকে এসএমএস করে বিষয়টি জানান। তিনি বিমানে দিল্লি থেকে চলে আসেন। এসে দেখেন, ছেলের মুখে এবং শরীরের অন্যান্য জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। তিনি ছেলেকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন। রাতে বিষয়টি কলেজ-কর্তৃপক্ষকে জানান। বৃহস্পতিবার তিনি কলেজ-কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। ওই দিন প্রথম বর্ষের আরও কয়েক জন ছাত্রকে র্যাগিং করা হয় বলেও জানান ওই ব্যক্তি। কলেজ-কর্তৃপক্ষ মৌখিক ভাবে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

রঙ্গচিত্র কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা
রঙ্গচিত্র-কাণ্ডের তদন্তের ভার কোনও স্বাধীন সংস্থাকে দেওয়ার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল এবং বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি দায়ের করে আইনজীবী বিকাশ সাহি জরুরি ভিত্তিতে শুনানি শুরু করার আর্জি জানান। তাঁর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী তথা প্রাক্তন মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্য। কী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে জামিনযোগ্য ধারায় সারা রাত পুলিশ লকআপে রাখতে পারে, প্রশ্ন তোলেন বিকাশবাবু। কার নির্দেশে ওই অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হল, সেই প্রশ্নও ওঠে। আবেদনকারীর বক্তব্য ছিল, রঙ্গচিত্র-কাণ্ডে অভিযুক্ত অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে ধরার ক্ষেত্রে পুলিশ ‘অতিসক্রিয়’ হলেও তাঁর উপরে হামলাকারীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে নিষ্ক্রিয় ছিল। হাইকোর্টের কাছে তাঁর আর্জি, এই ঘটনার তদন্তে স্বাধীন সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হোক এবং অধ্যাপকের উপর থেকে সব মামলা বিনা শর্তে প্রত্যাহার করা হোক। কোন এক্তিয়ারে সিআইডি ফেসবুকের কাছে কার্টুনের মূল প্রেরকের নাম জানতে চাইতে পারে, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে এ দিন। আজ, শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হতে পারে।

তদন্তে নয়া ইঙ্গিত
একই পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ফরেন্সিক পরীক্ষা নতুন করে ভাবাচ্ছে পুলিশকে। প্রাথমিক তদন্তের অনুমান থেকে কিছুটা সরে আসছেন গোয়েন্দারা। গত রবিবার রাতে রিজেন্ট পার্কের বাড়িতে সুপ্রতিম বসু, তাঁর বাবা সুদেশ বসু, স্ত্রী সঙ্গীতা ও দুই মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়। ওই ঘরে লাঠি ও রক্তের দাগ দেখে পুলিশের ধারণা হয়েছিল, লাঠি দিয়ে সঙ্গীতাদেবীকে মারেন সুপ্রতিমবাবু। বৃহস্পতিবার এক পুলিশ অফিসার জানান, ময়না-তদন্তকারী প্রাথমিক ভাবে কোনও আঘাতের কথা জানাননি। সেখানেই বিভ্রান্তি। তবে এটি যে খুন নয়, তা নিয়ে প্রায় নিশ্চিত পুলিশ। গোয়েন্দাপ্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “ময়না-তদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্ট না পেলে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাবে না। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে।” গোয়েন্দা সূত্রের খবর, দু’জনের পেটে গন্ধহীন হলদেটে তরল মিলেছে। সেগুলিও পরীক্ষা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘরে আগুন লাগাতে স্পিরিট জাতীয় অতিদাহ্য তরল ব্যবহৃত হয়েছিল। পোড়া জায়গা পরীক্ষা করে এমনই সন্দেহ গোয়েন্দাদের। তার জন্যই দ্রুত বিষাক্ত গ্যাস ছড়ায় বলেও পুলিশের ধারণা।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ
বাড়ি বাড়ি ঘুরে বহিরাগতদের সম্পর্কে পুলিশকে তথ্য জোগাড়ের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিধাননগরে মহকুমা প্রশাসনের নিজস্ব ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানে এই নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, “বিধাননগর থেকেই এই কাজ পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে চালু হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, বিধাননগরের পাঁচ নম্বর সেক্টর, নিউ টাউন এলাকায় ভিন্ রাজ্যের অনেকে পেইং গেস্ট হয়ে থাকেন। তাঁর আশঙ্কা, এঁদের মধ্যে উগ্রপন্থী, হার্মাদ, সুপারি কিলারও ঢুকে পড়ে। তাঁদের সম্পর্কে তথ্য নেই। তাই তিনি মুখ্যসচিবের মাধ্যমে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশকে এই কাজ শুরুর আবেদন করেন। পাশাপাশি, এ দিন প্রস্তাবিত রবীন্দ্রভবনের ফলক উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধাননগরে একটি নজরুল ভবন হবে বলেও জানান। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আরও ঘোষণা করেন, বিধাননগরে রেলের একটি কম্পিউটার রিজার্ভেশন সেন্টার হবে এবং টিকিট কাটার একটি ভ্যান ঘুরবে বিভিন্ন ব্লকে।

বেআইনি পার্কিং রোধে
কলকাতায় বেআইনি গাড়ি পার্কিং বন্ধ করতে পুলিশের সঙ্গে যৌথ ভাবে অভিযান চালাবে কলকাতা পুরসভা। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ রাজীব দেব বলেন, “শহরের ৬৬টি রাস্তায় অবাধে চলছে বেআইনি গাড়ি পার্কিং।” এদের খপ্পরে পড়লেই পুরসভায় খবর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। ওই সব গাড়ি পার্কিং বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুর-প্রশাসন। রাজীববাবু জানিয়েছেন, কোন গাড়ি পার্কিং বৈধ, কোনটা অবৈধ তা জানা না থাকায় অনেক মানুষই বিপদে পড়ছেন। বেআইনি পার্কিংয়ের মালিকেরা গাড়ি রাখার জন্য নির্ধারিত ফি-এর থেকে অনেক বেশি টাকা আদায় করছেন। পুরসভা সূত্রের জানা গিয়েছে, ২৮১টি রাস্তায় দিনের বেলায় কলকাতা পুরসভা অনুমোদিত গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। সেগুলিতে পুরসভা থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হার মেনে ফি নেওয়া হয়ে থাকে। ২০১১-১২ আর্থিক বছরে পুরসভা বৈধ গাড়ি পার্কিং সংস্থাগুলির কাছ থেকে ৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা আয় করেছে।

টাকা-গয়না চুরি
বালিগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে চুরি গেল টাকা ও সোনার গয়না। পুলিশ জানায়, ওই ফ্ল্যাটের মালিক মণীশ ফতেপুরিয়া বৃহস্পতিবার দেখেন, তাঁর আলমারি থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং কয়েক ভরির গয়না উধাও। নিখোঁজ এক পরিচারকও। মণীশের অভিযোগ, ধান্যেশ্বর নামে ওই পরিচারকই চুরি করেছে। চুরি যাওয়া জিনিসের মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। পুলিশ জেনেছে, মঙ্গলবারই ধান্যেশ্বরকে কাজে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নেননি মণীশ। তিনি পুলিশকে জানান, ধান্যেশ্বরের বাড়ি বিহারে। পুলিশ জানায়, দীর্ঘ দিন ধরেই শহরের বিভিন্ন বহুতলের বাসিন্দাদের বলা হচ্ছে পরিচারক নিয়োগের আগে সবিস্তার খবর নিয়ে স্থানীয় থানায় জানাতে। পুুলিশ সূত্রের খবর, শেক্সপিয়র সরণি, বালিগঞ্জের মতো অভিজাত এলাকাগুলিতেও বহুতলের বাসিন্দারা পরিচারক-পরিচারিকাদের সম্পর্কে তথ্য পুলিশকে জানান না।

গাড়ি চুরির পাণ্ডা ধৃত
আন্তর্জাতিক গাড়ি চুরি চক্রের এক পাণ্ডা ধরা পড়ল। বৃহস্পতিবার, শিয়ালদহ থেকে। ধৃতের নাম হাতেম আলি মোল্লা। বাড়ি বাংলাদেশের যশোহরে। পুলিশ জানায়, হাতেম ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এবং কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি চুরি চক্রের অন্যতম পাণ্ডা। বাংলাদেশে চোরাই গাড়ি পাচারের কাজও করত। এর আগে গাইঘাটা এবং মুচিপাড়া থানায় সে ধরাও পড়ে।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.